২৫ ঘণ্টা বাদে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিস থেকে ছাড়া পেলেন ডেপুটি সেক্রেটারি-সহ ১২ জন। মঙ্গলবার দুপুর থেকে ২৭ জন কর্মীকে আটকে রেখেছিলেন ‘অযোগ্য’ চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটার পর ১২ জন মহিলা কর্মী, ডেপুটি সেক্রেটারি-সহ আরও দু’জনকে ছেড়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। তবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসে আটকে রাখা হয় ১৫ জন কর্মীকে।
গত বুধবার থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসের সামনে অবস্থান চালাচ্ছে ‘অযোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকারা। সোমবার কালীঘাট অভিযানও করেন তাঁরা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক আধিকারিক বলেন,’দুপুর থেকে আমাদের দফতরে বন্দি করে রেখে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। প্রথমে জল এবং খাবার পৌঁছতে না দিলেও সাড়ে বারোটার পর খাবার আসে। আদালতে মামলা থাকার জন্য আমাকে ছাড়লেও অন্যান্য কর্মীরা এখনও রয়েছেন আটক।’ অন্যদিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের দেওয়া ‘যোগ্যদের’-র তালিকায় নাম ছিল না যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলনের প্রথমসারির নেতাদের। জানা গিয়েছে, ওই তালিকায় নাম ছিল না আন্দোলনের অন্যতম মুখ ও কনভেনার চিন্ময় মণ্ডলের। এবার ১৫ হাজার ৪০৩-এর যোগ্যতালিকায় সেই নাম যুক্ত হয়েছে। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ থেকে এই বাদ পড়া তালিকার সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০০ এর মতো। একথা আগেই জানিয়েছিলেন তাঁরা। বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশন ‘যোগ্যদের’ তালিকা প্রকাশ করেছিল। ঘটনার ছয় দিনের মাথায় সংশোধন করা হয় তালিকা।
স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে বিভিন্ন জেলার স্কুল পরিদর্শকরা ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছিলেন সোমবার সকাল ১১ টার মধ্যে স্যালারি রিকুইজিশনের তথ্য আপলোড করতে। তার আগেই এই সংশোধিত তালিকা একাধিক স্কুল পেয়ে যায়। তারপরেই সেই স্যালারি সংক্রান্ত রিকুইজিশন ইতিমধ্যেই আপলোড করেন একাধিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রধান শিক্ষিকারা। অন্যদিকে, সোমবার থেকে স্কুলে যেতে শুরু করেছেন অযোগ্য বলে চিহ্নিত নয় শিক্ষক-শিক্ষিকারাও।