প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে সিআইডি গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধে সাতটা নাগাদ ভবানীভবন থেকে বেরলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। রাজু নস্কর খুনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার নওশাদকে ডেকে পাঠান সিআইডি আধিকারিকেরা। সোমবার একপ্রস্থ জিজ্ঞাসাবাদ করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এদিন ফের তলব। তবে বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের শেষে বেশ খোশমেজাজেই দেখা গেল নওশাদকে। হাসিমুখে বেরলেন ভবানীভবন থেকে। শরীরী ভাষা দেখে বোঝা গেল তিনি আত্মবিশ্বাসী।এরপর তিনি জানান, সিআইডি গোয়েন্দারা তাঁকে ঘটনার বিষয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। মূলত, ঘটনার সঙ্গে তিনি কীভাবে যুক্ত, সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। তবে ঘটনা বিচারাধীন থাকায় মুখে কুলুপ আঁটেন নওশাদ।
এরই পাশাপাশি নওশাদ এও জানান, ‘আইন-শৃঙ্খলার অবনতির কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে, এমন কোনও কথা তো আমি আজ পর্যন্ত ইশারা-ইঙ্গিতেও কখনও বলিনি। ভয় পাওয়ার কী আছে! আমাকে মূল অভিযুক্ত করেছিল। সিআইডি তদন্তভার নিয়েছে। শেষে দেখবেন, সিআইডি আমার নামটা কেটে উড়িয়ে দেবে।’ একইসঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকীর দাবি, এদিন তাঁকে বেশ কিছু নতুন প্রশ্ন করা হয়েছিল। আবার পুরনো অনেক প্রশ্নও করা হয়েছে।আর এ নিয়ে কটাক্ষের সুরে জানান, ‘এতটা সময় বসিয়ে রাখতে হবে, কিছু তো করতে হবে ওদের। সিআইডি নিয়ে আমার কোনও ক্ষোভ নেই। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে যে সিআইডি চলছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।’
এদিন সিআইডি জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষের সুরে ধন্যবাদ জানান নওশাদ।বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাব।আমি লালবাজার সম্পর্কে জানতাম না, ওনার সৌজন্যে জেনেছি। গোয়েন্দা বিভাগ সম্পর্কে জানতাম না, প্রেসিডেন্সি জেল সম্পর্কে জানতাম না। এখন জেনেছি। সিআইডির কথাও ছোটবেলা থেকে শুনতাম। কী জিনিস সিআইডি, খায় না মাখে, তা এখন জানতে পারছি।’ একইসঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘আমাদের রাজ্যে সবাই ভাল, এদের উপর চাপ না দিলে এরা ভাল করবে। আমাদের রাজ্যে সিআইডি, ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টে অফিসারের অভাব আছে, যাঁরা আছেন তাঁদের ১৬-১৮ ঘণ্টা ডিউটি করতে হচ্ছে। আমাদের কষ্ট হচ্ছে।’