তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদের পাশাপাশি দলীয় মুখপাত্রের পদ থেকেও সরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন কুণাল ঘোষ। যা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। যা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি পদ্ম শিবিরও। এরই রেশ টেনে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বলতে শোনা যায়, ‘অপেক্ষা করুন না। লোকসভা ভোট আসতে দিন, তারপর দেখবেন কতজনের কত কী উঠে যাবে।’
একইভাবে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। কুণালের পদ ছাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এসব অনেক দেখেছি। তৃণমূল যখন ওকে জেলে ঢুকিয়েছিল এরপর টিএমসি-ই ওকে বড় নেতা বানিয়েছে। রোজ রূপ পাল্টালে লোকে বিশ্বাস করবে নাকি।’
শুধু বিজেপি-ই নয়, কুণালের পদ ছাড়ার ইস্যুতে খোঁচা দিতে ছাড়েনি আইএসএফও। আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি এই প্রসঙ্গে জানান, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে এখন লড়াই চলছে কে কত তোলা তুলতে পারবেন, কাকে কে কতটা কন্ট্রোল করতে পারবেন তা নিয়ে লড়াই চলছে। সিন্ডিকেটরাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রেষারেষি চলছে। সুতরাং কে কার বিরুদ্ধে বলছে, কার বিরুদ্ধে সমালোচনা করছে এটা নতুন নয়। কুণালবাবু কলকাতার একজন সাংসদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণ করছেন। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার। ওদের আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ নিয়ে আমাদের ভাবার সময় নেই। আমাদের কাজ তৃণমূলের অপশাসন থেকে মানুষকে মুক্তি দেওয়া।’
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, ‘এই বিষয়ে আমি কোনও আলোকপাত করতে পারব না। আমার মনে হয় যে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের একটা ব্যক্তিগত পরিসর থাকে। তৃণমূল পরিবারের অত্যন্ত সম্মানীয় সদস্য কুণাল ঘোষ। তাই তাঁর ব্যক্তিগত পরিসরকে আমাদের সকলের সম্মান করা উচিত।’
এদিকে সূত্রের খবর, কলকাতারই এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে কুণালের। ওই নেতার ভূমিকা এবং তাঁর কাজে দলের ক্ষতি হচ্ছে বলে মনে করছেন কুণাল। অন্তত এমনটাই তাঁর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা যাচ্ছে। কিন্তু, কে সেই নেতা তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে।