পুরসভা নিয়ে বৈঠকের পরই পুর ও নগর উন্নয়ন সচিব সঞ্জয় বনশলকে সরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হল বিনোদ কুমারকে। সোমবার নবান্নে পুরসভাগুলির কাজকর্ম নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই বৈঠক থেকেই অধিকাংশ পুরসভা এবং কর্পোরেশনের কাজে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জানতে চান, ‘রাস্তাঘাট পর্যন্ত ঝাঁট দেওয়া হয় না। এরপর কি আমাকে রাস্তা ঝাঁট দিতে নামতে হবে?’
এদিনের বৈঠকে পুরসভাগুলির কাজকর্ম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কার্যত রুদ্রমূর্তি ধারণ করতে দেখা যায়। কারও নাম করে, কারও নাম না করে তিনি তোপ দেগে বলেন, ‘শুধু টাকা খাওয়া, সরকারি জমি বিক্রি করা, ট্যাক্স বাড়ানো ছাড়া আর কোনও কাজ হয় না পুরসভাগুলিতে। মানুষ যদি পরিষেবাই না পায়, তাহলে আর পুরসভা রেখে লাভ কী।’
এই বৈঠকে ডাক পায়নি একমাত্র সিপিএমের হাতে থাকা তাহেরপুর পুরসভা। এছাড়াও ডাকা হয়নি পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভাকে। কারণ, সেখানে মামলা মোকদ্দমা, দলবদল নানা ঝামেলা রয়েছে। তা কার্যত কংগ্রেসের সমর্থনেই চলছে। বৈঠকের সরকারি বিজ্ঞপ্তিতেও এই দুটি পুরসভাকে যে ডাকা হচ্ছে না, তা পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সেই বিজ্ঞপ্তি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন, ‘এই রাজ্যে সরকার জনগণের নয়, তৃণমূলের। তাই বিরোধীর হাতে থাকে পুরসভা বৈঠকে ডাক পায় না।’ পাল্টা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ‘যাদের ডেকে লাভ নেই, তাদের কেন ডাকা হবে।’ এদিন সেই প্রসঙ্গ বৈঠকে খোদ মুখ্যমন্ত্রীই তোলেন। তিনি বলেন, বিরোধীদের হাতে আছে বলেই তাদের ডাকা হয়নি। কারণ এখানে আমি অনেক কিছু বলব সকলের সামনে। তাতে কারও খারাপ লাগতে পারে। তারা কিছু মনে করতে পারে। আমার শুভেচ্ছা থাকল। তারা তাদের মতো থাকুক।