‘ওরা বিচার পেতে আসেনি। ওরা চেয়ার চায়। মানুষের স্বার্থে আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি। মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাই না। আমি চাই তিলোত্তমা বিচার পাক। সাধারণ মানুষ বিচার পাক।’ এদিন নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকের একদম শেষে এ কথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ঝরে পড়ল ক্ষোভ।
প্রসঙ্গত, এদিন জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠক করতে নবান্ন গেলেও লাইভ স্ট্রিমিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি সরকারের তরফে। কিন্তু, লাইভ ছাড়া আলোচনা সম্ভব নয়। সাফ জানিয়ে দেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা।
প্রসঙ্গত, নবান্নে পৌঁছানোর পর থেকেই লাইভ স্ট্রিমিং নিয়ে বাড়তে থাকে জটিলতা। ‘নো লাইভ নো ডিসকাশন’-এই দাবিতে যখন অনড় আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেরা তখন নবান্নের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টে যেহেতু তিলোত্তমা কেস বিচারাধীন রয়েছে সেই কারণে লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়। সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়েও সে কথা জানিয়ে দেন মুখ্যসচিব থেকে ডিজি।
একদম শেষে সাংবাদিক বৈঠকে একই সুর শোনা যায় মমতার গলাতেও। বলেন, ‘আমরা ছোটদের ডেকেছিলাম। বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমরা ভেবেছিলাম আজ সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু নবান্নের দোড়গোড়ায় এসেও বসলেন না। এরপর যদি ওরা বসতে চান আমি আমার মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজিকে বলব আপনারা বসুন।’ এরই রেশ ধরে আরও বলেন, ‘এরপরও আমরা কোনও অ্যাকশন নেব না। অনেক ধৈর্য ধরেছি। অনেক সময় ধৈর্য ধরতে হয়। অনেক গ্রুপের মধ্যে অনেকে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কিছু গ্রুপ অন্যদের থেকে ইনস্ট্রাকশন পাচ্ছিল। আমাদের কাছে সব তথ্য আছে।’ এমনকী সাংবাদিক বৈঠকের একদম শেষে মানুষের স্বার্থে পদত্যাগ করার ইচ্ছা প্রকাশও করেন মমতা। মমতার এই মন্তব্যের পরই বঙ্গ রাজনীতি থেকে শুরু করে গোটা দেশ জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে তুমুল জল্পনা। তবে মমতার এদিনের শেষ কয়েকটি কথায় স্পষ্ট যে এবার তিনি বল ঠেললেন জুনিয়র চিকিৎসকদেরই কোর্টে।