নির্বাচনের মুখে কমিশনের নির্দেশে ফের বদল মুর্শিদাবাদের ডিআইজি,সরব মমতা

লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে ফের এক পুলিশ কর্তাকে বদলির নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। এই নির্দেশে নাম রয়েছে মুর্শিদাবাদ রেঞ্জের ডিআইজি মুকেশের।সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে তিনি যুক্ত থাকতে পারবেন না। এই একই পদে নতুন নিয়োগের জন্য বিকেল পাঁচটার মধ্যে তিনজনের নাম তালিকা পাঠাতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন, সূত্রের খবর এমনটাই।

তাৎপর্যপপূর্ণভাবে ২০১৯ সালে তিনি মুর্শিদাবাদের এসপি ছিলেন। এরপর তাঁকে মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া রেঞ্জের ডিআইজি করা হয়। নির্দেশিকাতে বলা হয় এই আইপিএস-কে ‘নন ইলেকশন’ পদের দায়িত্ব দিতে হবে। উল্লেখ্য, মুকেশের বিরুদ্ধে রাজ্যের শাসক দলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ তুলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। অধীরের অভিযোগ ছিল, মুকেশ পুলিশ সুপার থাকাকালীন সমস্ত থানায় যে কয়জন ওসি ছিলেন, তিনি ডিআইজি হওয়ার পর তাঁদেরই আবার থানায় নিয়ে আসেন। অধীরের অভিযোগ ছিল, তাঁরা পক্ষপাতহীন নন। এই মর্মে নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ জানান অধীর চৌধুরী। কমিশনের তরফ থেকে এই বদলির নির্দেশ আসার পরই বঙ্গ রাজনীতিতে শুরু হয়েছে চর্চা। এদিকে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মালদা মুর্শিদাবাদে অশান্তি হলে দায় কমিশনকে নিয়ে হবে।’ আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে এই মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে ডিআইজি মুর্শিদাবাদের বদল নিয়ে সরব মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়। সোমবার উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘আজও, শুধু বিজেপির নির্দেশের ভিত্তিতে, মুর্শিদাবাদের ডিআইজি বদল করা হয়েছে। এখন যদি মুর্শিদাবাদ এবং মালদহতে ভোটে হিংসা হয়, তার দায়ভার নির্বাচন কমিশন (ইলেকশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া)-এর উপর বর্তাবে। কমিশনের বক্তব্যের ভিত্তিতে ইচ্ছাকৃতভাবে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের পরিবর্তন করা হয়েছে বিজেপির স্বার্থসিদ্ধির জন্য।’ পাশাপাশি মমতার সংযোজন, ‘যদি হিংসা হয়, তাহলে কমিশন এর জন্য দায়ী হবে। কারণ এখানে আইনশৃঙ্খলা দেখছে নির্বাচন কমিশন।’ এদিন আলিপুরদুয়ারের জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি যদি ২৬ দিনের জন্য কৃষকদের জন্য অনশন করতে পারি, আমি ৫৫ দিনের জন্যও অনশন করতে পারি। যুদ্ধ করতে জানি। আমি কাপুরুষ নই।’

উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, নির্বাচনের মুখে বদল করা হয়েছিল রাজ্যের ডিজিপিকে। রাজ্যে নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি চালু হওয়ার দুই দিনের মধ্যে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে রাজীব কুমারকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজ্যের মুখ্য সচিব বিপি গোপালিকাকে একটি নির্দেশ দিয়ে তা জানানো হয়েছিল কমিশনের পক্ষ থেকে। এরপরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি (হোমগার্ড) পদের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিবেক সহায়কে ডিজিপি পদে বসানো হয়েছিল। এরপর রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে কে বসবেন তার জন্য রাজ্যের থেকে কমিশনের তিন জন পুলিশ কর্তার নাম পাঠাতে বলে নবান্ন। এই তালিকায়তে নাম ছিল ১৯৮৯ ব্যাচের আইপিএস অফিসার সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের নাম। সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে ডিজি দমকল পদ থেকে ডিজিপি পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eleven + seventeen =