চিকিৎসকদের অবিলম্বে কাজে ফেরার বার্তা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের টানা ৩৬ ঘণ্টার ডিউটির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সর্বোচ্চ আদালতের বার্তার পর কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন এইমসের চিকিৎসকরা।
‘দ্য রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘চিকিৎসকদের সুরক্ষার আশ্বাস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আরজি করের ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের সুরক্ষার বিষয়টি উত্থাপনের জন্য সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদও জানানো হয় সংগঠনের তরফে।
বৃহস্পতিবার আরজি করের ঘটনার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট চিকিৎসকদের কাজে ফেরার বার্তা দিয়েছিল। পাশাপাশি বিক্ষোভরত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না, আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের তরফে। আদালতের বার্তা ছিল, ‘প্রথমে ধর্মঘটী চিকিৎসকদের কাজে যোগদান নিশ্চিত করতে হবে। তারপর আমরা নিশ্চিত করব যে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে না আপনাদের বিরুদ্ধে।’
উল্লেখ্য, আরজি করে এক মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশ। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার দাবিতে প্রতিবাদ হয়েছিল দেশজুড়ে। বহু চিকিৎসক কর্মবিরতির পথে হেঁটেছিলেন। ফলে চিকিৎসা পরিষেবায় বড় প্রভাব পড়েছিল। আরজি করের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময়ও দিল্লির এইমস সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চলছিল কর্মবিরতি। মামলার প্রথম দিনের শুনানিতেও চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই আবেদন মেনে এবার কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন এইমস-এর চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় টাস্ক ফোর্স গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে টাস্ক ফোর্সকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেয় সর্বোচ্চ আদালত। কেন্দ্রীয় সচিবদেরও এই টাস্ক ফোর্সের সদস্য করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে স্বাস্থ্য বিভাগের সচিবদের সঙ্গে পরামর্শ করে হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে টাস্ক ফোর্স, জানানো হয়েছিল এমনটাই।