২৯ জন সিভিক আরজি কর হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন। তাঁদের আর ডিউটি দেওয়া হচ্ছে না। এবার আরজি কর হাসপাতালের ডিউটি থেকে ক্লোজ করা হল সব সিভিক ভলান্টিয়রদের। আরজি কর মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যখন দ্বিতীয় শুনানি হয়, তখনই সিভিক ভলান্টিয়রদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সূত্রের খবর, তারপরই লালবাজারের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত ও অন্যান্য সমস্ত কাজে যেখানে সিভিক ভলান্টিয়রদের ব্যবহার করা হত তা আর করা হবে না। এরপরই এই ২৯ জন সিভিক ভলান্টিয়রকেই ক্লোজ করা হয়। তাঁদের আর কোনও রকম ডিউটিই দেওয়া হচ্ছে না বলে লালবাজার সূত্রে খবর। বদলে ২৯ জন কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়েছে। যার মধ্যে মহিলা কনস্টেবলও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী এক চিকিৎসক বলেন, ‘এই দাবি আমাদের প্রথম থেকেই ছিল। যিনি অভিযুক্ত, তিনি তো সিভিক ভলান্টিয়র। এটা একটা বড় নিরাপত্তার প্রশ্ন। তাই নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিক ভলান্টিয়রদের রাখা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পরও আমরা এসএসকেএম-সহ একাধিক সরকারি হাসপাতালে সিভিক ভলান্টিয়রদের ঘুরে বেড়াতে দেখেছি। প্রশ্ন করতে তাঁরা উত্তর দিয়েছেন, তাঁদের কাছে লালবাজারের তরফে কোনও নির্দেশ নেই। অনেক দেরিতে ঘুম ভেঙেছে লালবাজারের।’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আরজি কর মামলার শুনানিতে রাজ্যকে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের প্রশ্ন করেন, ‘কে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করেন? কোন আইন বলে তাঁদের নিয়োগ করা হয়?’ পরবর্তী শুনানিতে এমনই ছ’দফা প্রশ্নের উত্তর হলফনামা আকারে জানাতে হবে রাজ্যকে। সেই সঙ্গে স্কুল এবং হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার নিরাপত্তার দায়িত্বে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে নিষেধাজ্ঞাও জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।