যোগ্যতা প্রমাণে সব নথি জমা দিতে হবে সব শিক্ষককেই

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক বড় নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষক বাছতে একটা প্যানেল পর্যন্ত বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এবার বাংলার সব শিক্ষককে দিতে নথি দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে তাঁরা যোগ্য। এমনই নির্দেশিকা দেওয়া হল শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে। হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় দেওয়া নির্দেশের ভিত্তিতেই এই নির্দেশিকা দিয়েছে রাজ্য। এ ক্ষেত্রে প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষককে জমা দিতে হবে নথি।

একইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে, কীভাবে, কোথায় নথি জমা দিতে হবে, তা নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে। এই  নথি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৭ মে। তার মধ্যে নির্দিষ্ট জায়গায় হার্ড কপি জমা দিতে হবে। এই নির্দেশিকায় প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষা মহলে। অবসরের ঠিক আগে এমন নির্দেশ পেয়ে হতাশ সিনিয়র শিক্ষকরা। ৩০-৩৫ বছর আগে যাঁরা নিযুক্ত হয়েছেন, সেই শিক্ষকদের তথ্য কেন দিতে হবে সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।

শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষকদের জমা দিতে হবে এসএসসি-র শংসাপত্র, নিয়োগ পত্র, বর্তমান চাকরির প্রমাণ পত্র। এসএসসি-থেকে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক না হলে দিতে হবে অ্যাপ্রুভাল মেমো। প্রধান শিক্ষকদের মাধ্যমে ডিআই-দের কাছে প্রমাণের হার্ড কপি দিতে হবে। সব কাগজ খতিয়ে দেখে ৭ জুনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবেন ডিআই-রা। এই নথি বা প্রমাণ দেওয়ার জন্য আইওএমএস নামে একটি পোর্টাল খোলা হয়েছে। সেখানে লগ ইন করতে হবে। এসএসসি ডেটা সাবমিশন মেনুতে গিয়ে তথ্য বা নথি জমা দিতে হবে।

শিক্ষা দফতরের এই নির্দেশিকায় বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য জানান, ‘এই আমলের দুর্নীতিকে আড়াল করার জন্য এটা রাজ্য সরকারে একটা বাহানা। পুরো তদন্ত ঘেঁটে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।’ এর পাশাপাশি শিক্ষক সংগঠনের নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, এই তথ্য যদি খুঁজে না পাওয়া যায়, তাহলে কী হবে। প্রধান শিক্ষক যদি অবসর নিয়ে থাকেন, তাহলে পুরনো শিক্ষকদের নথি পেতে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 9 =