ষষ্ঠ দফাতেও জওয়ানের বিরুদ্ধে উঠল শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এবার ঘটনাস্থল ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ডেবরা। যদিও এই ঘটনায় পুলিশের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি। তবে এই অভিযোগ পৌঁছে যায় নির্বাচন কমিশনের কাছে। আর অভিযোগ উঠে আসতেই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপও করে নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই জওয়ানকে ভোটের ডিউটি থেকে দ্রুত সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হয় অন্য জওয়ানকে।
সূত্রে খবর, এলাকার ওই অভিযোগকারী গৃহবধূর দাবি, ওই জওয়ান বাড়িতে এসে জল খেতে চেয়েছিলেন। সেই সময়েই তাঁর শ্লীলতাহানি করা হয়। এমন একটি অভিযোগ যে উঠে এসেছে, সে কথা মানছেন স্থানীয় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকও। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ডেবরার ওই অঞ্চলের বিডিও জানিয়েছেন, এমন একটি অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই জওয়ানকে ডিউটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গোটা বিষয়টি পুলিশ দেখছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, এর আগে পঞ্চম দফার নির্বাচনের সময়েও উলুবেড়িয়ায় ভোটের ডিউটিতে আসা এক জওয়ানের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ উঠে এসেছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেও সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করেছিল নির্বাচন কমিশন। ভোটের ডিউটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই বিএসএফ জওয়ান। পরে সেদিনই ভোট পর্ব শেষ হতে না হতেই বিবৃতি প্রকাশ করেছিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বিএসএফ একটি শৃঙ্খলাপরায়ণ ও পেশাদার বাহিনী। কোনওধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গ বিএসএফ কোনওভাবেই বরদাস্ত করে না। সঙ্গে সীমান্তরক্ষী বাহিনী এটাও জানিয়েছিল, বাহিনীর তরফে তদন্ত করা হচ্ছে বিষয়টির এবং দোষ প্রমাণিত হলে ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।