স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার সমবায়ে ছ’শো কোটি টাকা আর্থিক তছরূপের অভিযোগ। একাধিক ব্যক্তি, যাঁরা এই সমবায়ে টাকা রেখেছিলেন তাঁদের সকলের দাবি টাকা তুলতে গেলে তাঁরা টাকা পাচ্ছেন না।
কলকাতার টলিগঞ্জের বাসিন্দা সুপ্রতীক মিত্র। তাঁর মা স্টিল অথারিটি অব ইন্ডিয়াতে কাজ করতেন। সেখানে সেলের কর্মীদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল সমবায়। যাতে জমানো হচ্ছিল টাকা। সুপ্রতীকবাবু জানিয়েছেন, প্রায় এক কোটি টাকা গচ্ছিত ছিল ওই সমবায়ে। এখন মায়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে সেই টাকার প্রয়োজন। কিন্তু সুপ্রতীকের দাবি, তিনি সমবায়ে গিয়ে বারবার ফিরে আসছেন খালি হাতে। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে কোথায় গেল তাঁর টাকা তা নিয়েও।
এই প্রসঙ্গে সুপ্রতীক মিত্র এও জানান, ‘এক কোটি বারো লক্ষ টাকা ছিল। একবার দশ লক্ষ টাকা চেয়ে এক লক্ষ পেয়েছিলাম। মায়ের বিভিন্ন রোগের সমস্যা। সেই সমস্যার চিকিৎসার জন্যই টাকা চাইছিলাম। কিন্তু গত বছরের এপ্রিলের পর টাকা পাইনি। জানি না টাকা কোথায় গেছে?’
একই সুর ৭০ বছরের আরও এক বৃদ্ধের গলাতেও। তিনিও স্টিল অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার সমবায়ের বিরুদ্ধে আনলেন তছরূপেরই অভিযোগ। ওই বৃদ্ধ জানান, ‘আমরাও সেলে রেখেছিলাম টাকা। প্রথম প্রথম টাকা পয়সার লেনদেন সব ঠিকঠাক চলছিল। এখন দেখছি টাকা সব ব্লক হয়ে গেছে। কী হয়েছে বুঝতেই পারছি না।’
এ প্রসঙ্গে সৌগত রায়, চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সেল) তিনি বলেন, ‘এটা সরকারি জায়গা। এই নিয়ে বেশি কথা বলতে পারব না। আমরা আশা করছি আগামী এক দেড় মাসের সমস্যার সমাধান হবে।’ অপরদিকে, সমবায় ব্যাঙ্কের সচিব জ্যোতির্ময় চক্রবর্তী জানান, ‘ গণ্ডগোলের শুরু ২০২২ সালে। সকলেই টাকা পাবেন। বাজারেও ইনভেস্টমেন্ট আছে। কিন্তু নতুন করে ইনভেস্টমেন্ট আসছে না।’