যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটি। ডিন সুবিনয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে হবে এই তদন্ত। ওই তদন্ত কমিটিতে মোট ১১ জন সদস্য রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে। সঙ্গে এও জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ কমিটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করায় ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে আলাদা করে কোনও তদন্ত করবে না অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি। এই তদন্ত কমিটির রিপোর্টকে বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্ব দেবে বলেও জানানো হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে।
এদিকে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন বা ইউজিসি-তে সোমবার পাঠানো হচ্ছে প্রাথমিক রিপোর্ট। ইউজিসি-র সঙ্গে এ নিয়ে ফোনে কথাও বলেছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। কারণ, যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন ইউজিসি। এই সপ্তাহেই ইউজিসি-র অ্যান্টি ব়্যাগিং দলের পা রাখার কথা কলকাতায়। তাঁরা খতিয়ে দেখতে চান ঘটনা ঠিক কী ঘটেছিল।
প্রসঙ্গত, ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় যখন রাজ্য তোলপাড় তখন ছুটিতে ছিলেন রেজিস্ট্রার। ৬ দিন পর সোমবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। নিজের শারীরিক অসুস্থতার জন্যই ছুটিতে ছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে স্নেহমঞ্জু বসু জানান, ‘আমি অত্যন্ত মর্মাহত। সন্তান হারানোর দুঃখ পাচ্ছি। ঘটনাচক্রে আমি আমার ৮ অগাস্ট থেকে আমি মেডিক্যাল লিভে ছিলাম। রক্তচাপের সমস্যার জন্য ছুটি নিয়েছিলাম। আমি মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে সহ উপাচার্যের কাছে ছুটি নিয়েছিলাম। তিনি মঞ্জুরও করেছিলেন। আমি ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে অফিস পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলাম। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো আমি ফোন ধরা থেকেও বিরত ছিলাম। অভ্যন্তরীণ কমিটিও তদন্ত করেছে। পুলিশে এফআইআর করা হয়েছে। বৈঠকের পর রিপোর্ট পাঠানো হবে ইউজিসিতে। দোষীদের শাস্তি হোক। আর কোনও সন্তানকে যেন এ ভাবে বলি হতে না হয়।’