বোলপুর থানার আইসিকে কুকথা বলা এবং তাঁর পরিবারের মহিলাদের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছিল বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলাও দায়ের হয়। ওই ঘটনায় বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপকে দিল্লিতে তলব করেছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। মামলার কেস ডায়রি–সহ ১৪ জুলাই তাঁকে দিল্লিতে হাজিরা দিতে নির্দেশও দেওয়া হয়। এবার সেই নোটিস খারিজের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন আমনদীপ। বুধবার মামলার শুনানি হতে পারে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মে একটি অডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই অডিয়োয় বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরের আইসি লিটন হালদারকে গালিগালাজ করতে শোনা যায়। এও শোনা যায় অনুব্রত মণ্ডলকে ওই পুলিশ অফিসারের মা এবং স্ত্রীর সম্পর্কে কুরুচিকর কথা বলছেন (ওই অডিয়োয় সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ ৩৬৫x ২৪ )। ওই ঘটনায় জাতীয় মহিলা কমিশন জেলা পুলিশের কাছে একটি রিপোর্ট তলব করেছিল। সেই সময়ে জেলা পুলিশের তরফে একটি রিপোর্ট কমিশনের কাছে জমাও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হয়নি জাতীয় মহিলা কমিশন। এরপরই জেলা পুলিশকে একটি চিঠি পাঠিয়ে কয়েকটি প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম ছিল, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতির সমম্পর্কিত তথ্য। সূত্রের খবর, সেই সময়ে জেলা পুলিশের তরফ থেকে যে উত্তর দেওয়া হয়েছিল তাতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় জাতীয় মহিলা কমিশন বীরভূমের পুলিশ সুপারকে দিল্লিতে তলব করে। সেই তলবের নোটিস খারিজের জন্য এ বার হাইকোর্টে বীরভূমের পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য, এই ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্বকে দেওয়া চিঠিতে ক্ষমা চেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি নানা রকম ওষুধ খাই। দিদির পুলিশের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করলে মাথা গরম হয়ে যায়। আমি সত্যিই দুঃখিত।’ তবে কী ভাবে সেই অডিয়ো ফাঁস হলো, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন অনুব্রত।