পাহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ১৫ দিনের মাথায় ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নটি জঙ্গি ঘাঁটিতে চালায় হামলা। ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী, এবং বিমান বাহিনী এই তিন বাহিনীর যৌথ উদ্যোগে চলে এই ‘ অপারেশন সিঁদুর ‘। ইতিমধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দফতরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই আক্রমণের জেরে ১০০ জন জঙ্গিকে নিহত করা গেছে।
এদিকে প্রতিশোধের আগুনে ফুসছিল পাকিস্তান। থেমেছিল না তারা। ‘ অপারেশন সিঁদুর ‘ এর পরেই ভারতের একাধিক সেনা ছাউনিতে হামলার পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেই হামলা ফলপ্রসূত হয়নি। তার আগেই ভারতীয় সেনা পাকিস্তানের ‘ এয়ার ডিফেন্স রিডার সিস্টেম ‘ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়।
এরপর আর চুপ থাকেনি পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার রাত নটার পর অ্যাকশন শুরু করে পাকিস্তান। এরপরই সম্পূর্ণরূপে ব্ল্যাকআউট হয়ে যায় জম্মু-কাশ্মীর, লুধিয়ানা। পাল্টা ভারতের সেনা, নৌ সেনা এবং বায়ু সেনার ত্রিফলা আক্রমণে একেবারে নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে বসে পাকিস্তান। পাকিস্তানের হামলার বিরুদ্ধে আইএনএস বিক্রান্ত পাল্টা আক্রমণ হানে পাকিস্তানের করাচিতে। একেবারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় করাচি বন্দর। ইসলামবাদ থেকে আসতে থাকে অনবরত বিস্ফোরণের শব্দ ।
ভারতের পাল্টা হামলায় পুরো পাকিস্তান জুড়ে জারি ব্ল্যাকআউট। আর এই আবহেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কথা বলেন মার্কিন বিদেশসচিব রুবিওর সঙ্গে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলার পর আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিও তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন পাকিস্তানকে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে উদ্দেশ্য করে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘ এখনই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা বন্ধ করুন’। পাকিস্তানকেই নিতে হবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ, এমনই স্পষ্ট বার্তা দেন মার্কো রুবিও। অর্থাৎ, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে যেই যুদ্ধ পরিস্থিতি শুরু হয়েছে, তা যত দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টা করতে বলেন মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও। এর পাশাপাশি আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘আমেরিকা জানিয়ে দিয়েছে, আমরা চাই ভারত ও পাকিস্তান এই বিষয়ে দায়িত্বশীল সমাধানের পথে এগোক।’