একুশের বিধানসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবির পর ‘কামিনী-কাঞ্চন’ প্রসঙ্গ টেনে আনতে দেখা গিয়েছিল বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা তথাগত রায়কে। তিন বছর পর চব্বিশের লোকসভা ভোটে বঙ্গে আসন কমায় এবার সামনে এল সেই অভিযোগ-ই। এবার তোপ দেগেছেন বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রাহুল সিনহার ভাই শান্তনু সিনহা। তাঁর নিশানায় বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। শান্তনুবাবুর বিস্ফোরক অভিযোগ, অমিত মালব্যকে মহিলা জোগান দিয়ে পদ পেয়েছেন বাংলার একাধিক নেতা।
শুক্রবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে শান্তনু সিনহাকে লিখতে দেখা যায়, ‘অমিত মালবিয়া কি এখনও কলকাতার ফাইভ স্টার হোটেলে অপেক্ষা করছেন কখন বঙ্গ নেতৃত্ব সুন্দরী ললনা সরবরাহ করবে? বঙ্গ নেতৃত্বের মধ্যে এখন কি প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়েছে, কে কত সুন্দরী সরবরাহ করে সভাপতির পোস্টটা দখল করবে? অনুরোধ, প্রতিযোগিতা করুন কর্মী সমর্থকদের পাশে দাঁড়ানোর। অমিত মালবিয়া বা দিল্লী থেকে পাঠানো অবসারভারদের সুন্দরী ললনা সরবরাহ করে সভাপতি সম্পাদককের পোস্টটা দখলের জন্য প্রতিযোগিতা নয়।’
এর পাশাপাশি শান্তনু সিনহা বাংলায় ভরাডুবির দায় সংগঠনের নেতাদের উপরেই চাপিয়েছেন। একইসঙ্গে এও জানান, ‘তৃণমূল স্তরে প্রচার করতে ব্যর্থ দল। জন সংযোগে ব্যর্থ। সংখ্যালঘুদের কাছে পৌঁছতে ব্যর্থ। অমিত মালব্য নিজে যা চেয়েছেন সেটাই করেছেন। তৃণমূলস্তরের কর্মীদের কথা শোনেননি।’
একইসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়কেও বিদ্ধ করে জানান, ‘এই হারের দায় বঙ্গে সাংগঠনিক নেতারা এড়াতে পারেন না।’ এরই রেশ ধরে তাঁর প্রশ্ন, ‘বিজেপির সদর দফতর মুরলীধর সেন স্ট্রিট থেকে সল্টলেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল কেন তা নিয়েও। সঙ্গে এও জানান, সেখানে সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা ঢুকতে পারেন না। সর্বক্ষণ গেটে তালা ঝোলে। পাহারা থাকে। আর এখানেই শান্তনুবাবুর আরও বড় প্রশ্ন, ‘কেন এত ঢাক-ঢাক গুড় গুড়? কী কাজ হয় সেখানে?’ উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভার পর মহিলা ও অর্থের বিনিময়ে টিকিট বিলি হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন তথাগত রায়। এবার সেই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি হল। শুধু দোষারোপ করে ক্ষান্ত হননি শান্তনু। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ বিজেপি কর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানান তিনি। সঙ্গে বঙ্গ নেতৃত্বকে অনুরোধ, ‘ওরা (বিজেপি কর্মী) কিন্ত আপনাদের আশ্বাসে ও আপনাদের কথা বিশ্বাস করে জীবনের ঝুঁকি নিয়েছিল। ঠুঁটো জগন্নাথ হয়ে বসে থাকবেন না, প্লিজ।’