দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে মৃত নাবালিকার পরিচয় প্রকাশ করার অভিযোগে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যকে শোকজ নোটিস পাঠিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। সঙ্গে এও বলা হয়েছিল তিনদিনের মধ্যে জবাব দিতে। নির্দেশ মেনেই এই নোটিস পাওয়ার তিনদিনের মাথায় জবাব দিলেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাসকে যে উত্তর তিনি দিয়েছেন তাতে অমিত মালব্য দাবি করেন, তিনি কোনওরকম আইন ভঙ্গ করেননি। চিঠির প্রতিলিপি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকেও পাঠিয়েছেন তিনি।
গত ১৬ জুন ক্যানিংয়ে বাড়ি থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। নাবালিকার মৃত্যু নিয়ে বাংলায় বিজেপির সহ–পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। বাংলায় মেয়েরা সুরক্ষিত নন বলেও পোস্টে দাবি করেন তিনি। ওই পোস্টের সঙ্গে নাবালিকার ব্লার করা ছবিও দেন।
এরপরই গত ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন অমিত মালব্যকে শোকজ নোটিস পাঠায়। কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাস বলেন, ‘উনি লিখেছেন যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। সেটা নিয়ে আমরা কিছু বলছি না। আমরা পুলিশের রিপোর্ট চেয়েছি। উনি মেয়েটির ছবি দিয়েছেন। তা ব্লার করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, তাতে মেয়েটির মুখ পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।’ এরপরই নাবালিকার পরিচয় প্রকাশের অভিযোগে শোকজন নোটিস পাঠানো হয় মালব্যকে। তাঁর বিরুদ্ধে কেন আইনি পদক্ষেপ করা হবে না, তা তিনদিনের মধ্যে তা জানাতেও বলা হয়। সোমবার সেই শোকজেরই জবাব দেন মালব্য। কমিশনের চেয়ারপার্সন তুলিকা দাসকে লেখা চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘জনস্বার্থে ওই টুইট করা হয়েছিল। টুইটে নাবালিকার ছবি সম্পূর্ণ ব্লার করা ছিল। এবং নাম, পরিচয়, ঠিকানা কোনও কিছুই প্রকাশ করা হয়নি।’ একইসঙ্গে তাঁর দাবি, তিনি কোনওরকম আইনভঙ্গ করেননি বলে দাবি করেন মালব্য। শোকজের জবাবে তাঁর ব্যাখ্যাকে গ্রহণ করে বিষয়টিতে ইতি টানার আবেদন জানান তিনি। তবে বিজেপি নেতার এই আর্জি আদৌ শোনে কি না পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন এখন সেটাই দেখার।