পঞ্চায়েত ভোটে অংশ নিতে ঘরে ফিরছে আমতার ৫৭ পরিবার

অবশেষে আদালতের হস্তক্ষেপে ঘরে ফিরছে  ৫৭টি পরিবার। ২ বছর ধরে ফেরা হয়নি গ্রামে। ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের জেরে ভিটেমাটি ছেড়েই চলে যেতে হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। বুধবার এই মামলারই শুনানি ছিল বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে। এরপৎই বিচারপতি নিরাপত্তা দিয়ে ওই পরিবারগুলিকে গ্রামে ফেরানোর নির্দেশ দেন। ফলে আগামী ৮ জুলাই শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের আগেই ঘরে ফিরবে ওই পরিবারগুলি।

আদালত সূত্রে খবর, হাওড়ার আমতার মোট ৫৭টি পরিবার এই অভিযোগ জানিয়েছিল। ওই পরিবারের সদস্যরা সিপিএমের সমর্থক বলে আদালতে জানা মামলাকারীরা। তাঁদের দাবি, ২০২১-এর নির্বাচনের পর হওয়া অশান্তির জেরে ঘর ছেড়েছিলেন তাঁরা। পঞ্চায়েত ভোটে অংশ নিতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। গ্রামে ফিরলে প্রাণনাশের আশঙ্কা থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন মামলাকারীরা। তাঁরা হাওড়ার আমতার চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা। এরপরই হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপারকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। এরই পাশাপাশি বিচারপতি। চন্দ্রপুর গ্রামে পুলিশ পিকেট রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এই সূত্র ধরেই হাওড়ার বাম নেতৃত্বের দাবি, চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বিগত প্রায় ১১ বছর ধরে ভোট হয়নি। বিরোধী দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয় না বলেই অভিযোগ। ২০২১-এর নির্বাচনের পর সিপিএম প্রার্থীদের এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। জানা গিয়েছে, গত বছর সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে মিছিল করে ওই ঘরছাড়া পরিবারগুলিকে ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তাতেও বাধা পেতে হয় বলে অভিযোগ।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই আদালতের নির্দেশে ঘরে ফিরেছে নবদ্বীপের এমনই দুই পরিবার। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে ঘরছাড়া ছিল তারাও। গত এপ্রিল মাসে নবদ্বীপ থানার পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে তাদের ফিরিয়ে আনে।

আগামী শনিবার ভোটের আগে চলছে শেষ পর্বের প্রস্ততি। নিরাপত্তায় যাতে কোনও খামতি না থাকে, সে ব্যাপারে আগেই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার পাশাপাশি, স্পর্শকাতর এলাকায় বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই মতো দফায় দফায় আলোচনা সারছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সব বুথে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা হয়, সেই প্রস্তাবও দেওয়া হয় হাইকোর্টের তরফ থেকে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × three =