পঞ্চায়েত নির্বাচনে দফা বাড়ানোর ইঙ্গিত মিলল কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে শুনানিতে

ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখন যে ইস্যুতে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি তা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা।তবে শুক্রবার শুনানি চলাকালীন সামনে এল এক নয়া তথ্য। আদালত সূত্রে খবর, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের হাতে এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল একটি চিঠি তুলে দেওয়া হয় প্রধান বিচারপতিকে। এই চিঠিতে প্রধান বিচারপতিকে মনে করিয়ে দেওযা হয় ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রেক্ষাপট।কারণ, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে তারা যে বাহিনী দিয়েছিল, ইতিমধ্যেই তার থেকে বেশি বাহিনী বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রথম দফায় বঙ্গে আসে ২০০ কোম্পানি বাহিনী। তবে সেবার ভোট হয় ৫ দফায়। আর এখানেই জল্পনা তুঙ্গে , এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে একদফার পরিবর্তে দফা বাড়ানো হবে কি না তা নিয়েই।

এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন মামলাকারী শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার জানান, আদালতের নির্দেশ থেকে তিনটি বিষয় স্পষ্ট। আদালত সময়কে গুরুত্ব দিয়েছে। যাতে কোনও ভাবে সময় নষ্ট না হয়। পাশাপাশি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার সঙ্গে নির্ভেজাল নির্বাচনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত বলেন, ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী মঞ্জুর করার পর আরও ৪৮৫ কোম্পানি কবে পাব তা জানতে চেয়ে শুক্রবারই চিঠি পাঠানো হয়েছে কমিশনের তরফ থেকে।

আর এই সওয়াল-জবাব পর্বেই প্রশ্ন উঠে গেল, তবে কি পঞ্চায়েত নির্বাচনে দফা বাড়ানো হতে পারে কি না তা নিয়েই। এদিকে আদালত বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে বলেছে। এদিকে বিরোধী শিবিরের তরফ থেকে মূলত বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়, একবারে এত বাহিনী কোনওভাবেই দেওয়া সম্ভব নয়। পাশপাশি এও জানানো হয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে দফা বাড়ানো হোক।এই প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নিজের মত জানাতে গিয়ে বলেন,‘৮০০ কোম্পানি তো একবারে দেওয়া সম্ভব নয়। কমিশনের আদালতকে জানানো উচিত, এক দফায় ভোট করানো সম্ভব নয়। কারণ কোনও কেন্দ্রীয় সরকারই ৮০০ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী একবারে দিতে পারবে না। আমার মনে হয় একাধিক দফায় ভোট করালে তা সম্ভব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − sixteen =