কলকাতা পুরনিগমের বাজেট অধিবেশনে তৃণমূল কাউন্সিলরের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক। অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন বাজেট প্রস্তাবের পক্ষে বক্তব্য পেশের সময় ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেন তাতে বিরোধীরা তো বটেই, তৃণমূলের দুই কাউন্সিলর সুস্মিতা ভট্টাচার্য ও ক্রিস্টিনা বিশ্বাসকেও প্রতিবাদ করতে দেখা যায়। নিজেরই দলের কাউন্সিলর সুস্মিতা ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অনন্যা। যদিও অনন্যার বক্তব্য, ‘কোনও ব্যক্তি বা কোনও সম্প্রদায়কে আঘাত করার আমার কোনও উদ্দেশ্যই নেই। এটা নিছক একটা গল্প। আর যে শব্দ আমি ব্যবহার করেছি সেটাও ব্রাত্য নয়। সামাজিক সম্পর্ক বোঝাতে এই শব্দের ব্যবহার হয়।’ এদিকে কলকাতা পুরনিগমের চেয়ারপার্সন মালা রায়ের বক্তব্য, অনন্যার ওই মন্তব্য পুরনিগমের নথিতে নথিভুক্ত করা হচ্ছে না।
এদিকে এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে শাসকদলে। অন্যদিকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম স্বয়ং এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল কাউন্সিলরের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেন। অনন্যার মন্তব্যে একটি সম্প্রদায় আঘাত পেয়েছে বলেও সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে উল্লেখ করতে দেখা যায় কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে মেয়র স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, এ ধরনের মন্তব্য দল কোনওভাবেই সমর্থন করে না। পুরদলের তরফে অনন্যার কাছ থেকে এই বক্তব্যের জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। বিরোধীরাও এই বিষয়কে সামনে রেখে অনন্যার কাউন্সিলর পদ খারিজের দাবি তুলেছে। ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুস্মিতা ভট্টাচার্য বলেন, ‘এ ধরনের স্টেটমেন্ট অযৌক্তিক, কোনও দরকারই নেই। আমাদের সকলের খারাপ লেগেছে।’ অন্যদিকে শাসকদলের আরেক কাউন্সিলর ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ক্রিস্টিনা বিশ্বাস বলেন, ‘ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের মন্তব্য কেউ না করে সেটা দেখতে হবে।’
পুরনিগমের চেয়ারপার্সন মালা রায় এই প্রসঙ্গে জানান, পুরনিগমের মান যাতে না নামে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। তাই এমন কোনও বক্তব্য তুলে ধরা হবে না বলেই আশা। অন্যদিকে বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের দাবি, অনন্যা যে শব্দ ব্যবহার করেছেন তা ‘অসংসদীয়’, ‘অসভ্য’। অনন্যার সদস্যপদ খারিজেরও দাবি করেন সজল।