অঙ্গনওয়াড়ির অর্থাভাব কাটবে শীঘ্রই, জানালেন মন্ত্রী শশী পাঁজা

অর্থাভাবে জেলায় জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের বিক্ষোভ ও অসন্তোষের ছবি খুবই স্পষ্ট। সবজি, ডিম কিংবা জ্বালানির জন্য বরাদ্দ টাকা গত তিন মাস ধরে পাচ্ছেন না বলে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের। এই ক্ষোভ থেকে উঠেছে আন্দোলনের হুমকিও। তবে এবার আর সমস্যা আর থাকবে না বলেই জানালেন নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা।

আইসিডিএস নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল সেই ইস্যুতেই মুখ খুলতে দেখা গেল রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজাকে। আর পর্যাপ্ত অর্থ না মেলার জন্যই কেন্দ্রের বিরুদ্ধেই একপ্রকার সুর চড়ান তিনি। এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকাদের উপরে যে সরকারি অফিসাররা থাকেন, অর্থাৎ সুপারভাইজার বা সিডিপিও কিংবা জেলাস্তরের ডিপিও তাঁদের বেতন এতদিন কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ উদ্যোগে দেওয়া হত। আনুপাতিক হিসেব ছিল, রাজ্য দেবে ৭৫ শতাংশ ও কেন্দ্র দেবে ২৫ শতাংশ। এরই রেশ ধরে মন্ত্রীর দাবি, ১ অগাস্ট কেন্দ্রের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি রাজ্যগুলিকে পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বেতনের ২৫ শতাংশ টাকা কেন্দ্র বহন করবে না। অর্থাৎ পুরোটাই বহন করতে হবে রাজ্যকে। এই প্রসঙ্গে নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা এও জানান, বেতনের ২৫ শতাংশের হিসেবে কেন্দ্রের তরফ থেকে যে টাকা বরাদ্দ করা হতো তার পরিমাণ ৮১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। কেন্দ্র টাকা না পাঠানোয় এখন পুরোটাই রাজ্যকে বহন করতে হবে। বলছেন, ‘এই অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হল রাজ্যের উপর।’ কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, সেই বিষয়ে কোনও কারণ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়নি বলেই দাবি নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রীর।

যদিও শশী পাঁজা এও জানাচ্ছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে যা বোঝানো হচ্ছে তাও খুব অস্পষ্ট। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এটাই জানানো হয়েছে, যে পরিমাণ টাকা বেঁচে থাকছে, সেটা পরবর্তীতে আইসিডিএস-এর প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হবে। কোন পথে প্রশিক্ষণ চলবে, সেটাও স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি বলেই দাবি মন্ত্রীর।

এরই রেশ ধরে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী জানান, ‘এতদিন প্রশিক্ষণের থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল কেন্দ্র। উদ্দেশ্যটা খুব একটা ভাল মনে হচ্ছে না।’ তবে টাকা আটকে থাকার যে অভিযোগ উঠে আসছে জেলায় জেলায়, সেটিও দ্রুত সামাল দেওয়া যাবে বলে এদিন আশ্বাসও দেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে টাকা আটকে ছিল। ১৮ অগাস্ট সেই টাকা এসেছে কেন্দ্র থেকে। তারপর দ্রুত কাজ শুরু হয়েছে এবং শীঘ্রই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × two =