তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে এনডিএ সরকারের প্রথম বাজেট। বাজেটে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য বিশেষ আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করতে দেখা গেল অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণকে। শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের জন্য ১.৪ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল এবারের এই বাজেটে। সেখানে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে উচ্চ শিক্ষার জন্য পড়ুয়াদের ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করা হল। মঙ্গলবার নির্মলা সীতারামণ তাঁর বাজেট বক্তৃতায় জানান, নানা ধরনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় অর্থনীতির উন্নতির হার এখন অনেক উন্নত। বিভিন্ন প্রকল্প করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার মধ্যবিত্ত, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্কিল তৈরিতে বিশেষ জোর দিচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, এবার থেকে এক ছাতার তলায় পণ্য বিক্রি ও রফতানি হবে। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রের চাকরিতে আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি যুবক-যুবতী ইন্টার্নশিপের সুযোগ পাবেন। নির্মলা সীতারামন জানান, দেশের কর্মসংস্থান তৈরি হয়, শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ে সেই দিকে আমাদের নজর। শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের জন্য বরাদ্দ ১.৪৮ লক্ষ কোটি টাকা। ১আঞ্চলিক শিল্পীদের তৈরি প্রোডাক্ট বিদেশে বিক্রি করতে ই কমার্স এক্সপোর্ট হাব তৈরি করা হবে পিপিপি মোডে। এছাড়া একটি বিশেষ স্কিম আনা হচ্ছে, যার অধীনে আগামী ৫ বছরে ৫০০টি বড় সংস্থায় ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পাবেন ১ কোটি পড়ুয়া। এক বছর ধরে হাতে-কলমে কাজ শিখতে পারবেন তাঁরা। প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা দেওয়া হবে। সংস্থাগুলি যাতে সিএসআর ফান্ড থেকে ট্রেনিং-এর খরচ বহন করে, তা ঘোষণা করা হল বাজেটে। যাঁরা চাকরির বাজারে প্রথম বার পা রাখছেন, এই ধরনের ইন্টার্নশিপের সুযোগ তাঁরাই পাবেন। তাঁদের জন্য এক মাসের বিশেষ ভাতার বন্দোবস্ত করেছে সরকার। দু’কোটির বেশি তরুণ-তরুণী এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। দু’লক্ষ কোটি টাকা এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী জানান, দেশের মধ্যে পড়াশোনার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত শিক্ষা ঋণ দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য করবে। এর জন্য প্রতি বছর ১ লক্ষ পড়ুয়াদের ই-ভাউচার দেওয়া হবে। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের জন্য বিশেষ ক্রেডিট গ্যারান্টি প্রকল্প। দেশের বেকারত্ব দূর করতে এই পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।