পুলিশের জালে প্রসেন ওরফে লাল্টু নামে জয়ন্ত সিংয়ের আরও এক শাগরেদ। সূত্রে খবর, বেলঘরিয়া থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁকে। ইতিমধ্যেই জেরা করা হচ্ছে অভিযুক্তকে। তালতলা ক্লাবে নাবালকের উপর অত্যাচারের অভিযোগের ভিত্তিতে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে জয়ন্ত সিংকে। নাবালকের উপর অত্যাচারের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। আড়িয়াদহের ক্লাবে কিশোরকে নগ্ন করে যৌনাঙ্গে সাঁড়াশির চাপ থেকে শুরু করে যুবককে হকিস্টিক দিয়ে মারধর করতে দেখা গিয়েছে। এই ঘটনায় জয়ন্তের শাগরেদ প্রসেন ওরফে লাল্টুকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, কোনও একটি চুরির ঘটনায় এক কিশোরকে ক্লাবে তুলে এনে তার উপর যৌন নিগ্রহ করে জয়ন্ত ও তার দলবল। তালতলার ওই ক্লাবে এক জনকে চ্যাংদোলা করে ঝুলিয়ে রেখে মারধর করা হয়। সেই অত্যাচারের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে গোপনাঙ্গে সাঁড়াশি দিয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে। রীতিমতো সাঁড়াশি দিয়ে তার গোপনাঙ্গ ছিঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিশোরের উপর অত্যাচারের ঘটনায় বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে প্রকাশ্য দিবালোকে শূলে চড়াবে মানুষ। এই নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন খোদ বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, এই যে ধরে পেটাচ্ছে, পুলিশ জানে না, তেমনটা নয়। যারা পেটাচ্ছে তারা ফ্যাক্টর নয়। ফ্যাক্টর হচ্ছে ঠিকাদার। পুলিশ সব জানে। পুলিশের যা করা উচিত, সেটা করছে না। ঘটনাটি সম্পর্কে পুলিশকে বলেছিলাম।
আড়িয়াদহের জয়ন্ত সিং আপাতত শিরোনামে। জেলে থাকা জয়ন্তের একাধিক পুরনো ঘটনার ভিডিও একের পর এক প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। জয়ন্ত সিং কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্রর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। যদিও মদন মিত্র এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশ এতদিন কেন হাত গুটিয়ে বসেছিল। তৃণমূলের দাবি, ২০২১ সালের পুরনো ভিডিও প্রকাশ্যে এনে শাসকদলকে বিড়ম্বনায় ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। জয়ন্ত এবং তার কয়েকজন শাগরেদ গ্রেফতার হওয়ার পরও এলাকায় আতঙ্ক কাটছে না। মঙ্গলবার মাঝরাতে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের কাছে হুমকি-ফোন এসেছে বলে অভিযোগ। সৌগত জানান, হিন্দি ভাষায় তাঁকে অকথ্য গালিগালাজ করে বলা হয়েছে, জয়ন্তকে ছাড়ানোর ব্যবস্থা না করলে খারাপ হবে। প্রসঙ্গত, মদনের পাশাপাশি সৌগতর সঙ্গেও জয়ন্তর একাধিক ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।