কসবা কাণ্ডে গ্রেফতার আরও একজন ‘দালাল’। এর আগে চঞ্চল মুখোপাধ্য়ায় নামে একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, মোটা টাকার বিনিময় সোমনাথ রায়কে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শুক্রবার রাতে সুভাষগ্রাম নতুনপল্লি থেকে সোমশুভ্র মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ চঞ্চলের মতো সেও টাকার বিনিময় সোমনাথকে একাধিক জায়গা থেকে লোন পাইয়ে দিয়েছিল।
প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন শিশুটির একটি শারীরিক সমস্যা ছিল। শিশুটিকে স্কুলে ভর্তির পর সেখানে গিয়ে যাতে কোন সমস্যার মুখে পড়তে হয় তার জন্য চিন্তিত ছিলেন বাবা মা। তার একটি অস্ত্রোপচারও হয়। আরও একটি হওয়ার কথা ছিল। আর এই ব্যয় বহুল চিকিৎসার জন্য তারা ঋণের জালে জড়িয়ে যান।
এদিকে তদন্তে নেমে আরও বেশ কিছু তথ্য আসছে পুলিশের হাতে। পুলিশ সূত্রে খবর, রামলাল বাজার গড়িয়াহাট রুটে অটো চালাতেন ওই ব্যাক্তি। দুটি অটো ছিল তার। একটি নিজে চালাতেন, অন্যটি ভাড়া দিতেন। ওই রুটের কয়েকজন চালক খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন তারা জানান, ছেলের চিকিৎসার জন্য বাইরে থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন সোমনাথ। সেই পাওনাদার বার বার টাকা চাইতে বাড়িতে আসতেন। এছাড়া তিনি নাকি ওই অটো চালকদের বিভিন্ন সময় জানিয়েওছেন সম্পত্তি নিয়ে তার মামা মামীর সাথে ঝামেলা চলছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর মিলছে, সোমনাথ ছোটবেলা থেকেই মামার বাড়িতে মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন সোমনাথের বিয়েও তার মামা মামী দিয়েছিলেন। সেই ভাবে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়নি বলে জানাচ্ছেন তারা। তবে সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল সোমনাথের মামা ও মামীকে। তাদের ১২ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।