অবসরের পর এবার বঙ্গ রাজনীতিতে আসতে চান আরও এক বিচারপতি

 

অলোকেশ ভট্টাচার্য

 

প্রথমে বিচারপতির আসন থেকে অবসর নিয়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর সোমবার  বিচারপতির পদ থেকে ঠিক অবসরের মুহূর্তে কলকাতা হাইকোর্টেরই আরও এক বিচারপতি, চিত্তরঞ্জন দাশও জানান, তিনি আরএসএস করতেন। অবসরের পর ফের আরএসএস-এ ফিরে যেতে চান। তাঁর এই মন্তব্যের পরই রাজ্য রাজনীতিতে এক জল্পনা তৈরি হয়। প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি আরও এক বিচারপতি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন কি না তা নিয়ে। তবে এ ব্যাপারে বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ জানান, তবে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই তিনি কোনও রাজনৈতিক পদে যোগ দিতে চান না তিনি। অন্তত দুই বছর রাজনৈতিক পদের বাইরে থাকতে চান।

এই প্রসঙ্গে বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ জানান, বিদায়ী বক্তৃতায় সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে আবেগেই আরএসএস-এর নাম মুখে এসে গিয়েছিল তাঁর। এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্খা নেই। এই প্রসঙ্গে তিনি এও বলেন, ‘বিদায়ী ভাষণে আমি সবাইকে ধন্যবাদ দিচ্ছিলাম। আমি ভাবিইনি আমার মুখে আরএসএস-এর কথা চলে আসবে। এটা সতঃস্ফূর্তভাবে এসেছে। ৩৭ বছর ধরে আমার সঙ্গে আরএসএস-এর যোগ নেই। কিন্তু, আমার জীবনে আরএসএস-এর বড় ভূমিকা আছে। তারা আমায় অনেক কিছু দিয়েছে। আমার ব্যক্তিত্ব তৈরি করে দিয়েছে। আমার আজ যা ভাল গুণ, তা সবই আরএসএস-এরই দেওয়া। এটা একটা আবেগে বলা কথা। আমি এখন মুক্ত মানুষ। কাজেই আরএসএস যদি কোনও দায়িত্ব দেয়, তা পালন করতেই পারি।’  বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ এই প্রসঙ্গে এও জানান, ‘বঙ্গে আরএসএস-এর শক্তি বাড়বে কিনা, এই নিয়ে আমি কোনোদিনই গবেষণা করিনি। আমি যতক্ষণ পর্যন্ত বিচারপতি ছিলাম, আমি আরএসএস-এর সম্পর্কে কিছু ভাবনা-চিন্তাই করিনি। কোথায় তারা শক্তিশালি হবে, কোথায় তাদের ক্ষতি হবে, তা নিয়ে ভাবিনি। তবে, বিদায়ী ভাষণ দেওয়ার পর একজন বিচারপতি তাঁর দায়িত্ব থেকে মুক্ত হয়ে যান। আমার মনে হয়েছিল, আমি এখন মুক্ত। তাই মানুষের একজন বিচারপতির প্রকৃত পরিচয় জানা উচিত। আর আমি আগে আরএসএস-এর সদস্য ছিলাম বলে আমার কোনও আফসোস নেই। আমি বিচারপতির পদে থেকে কোনও অন্যায় করিনি। একজন বিচারপতির যে চরিত্র হওয়া উচিত, আমি অনেক পরিশ্রম করে সেই রকম চরিত্র তৈরি করেছি। আমার কর্মজীবনের উন্নতির জন্য আমি আরএসএস-কে কখনও ব্যবহার করিনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three + sixteen =