শুক্রবার মধ্যরাতে আগুন লাগে নিমতলা ঘাট সংলগ্ন মহর্ষি দেবেন্দ্র রোডে কাঠের গোলায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত দেড়টা নাগাদ কাঠের গোলা থেকে আগুনের ফুলকি বেরতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর গোডাউনের ভিতর থেকে রাতে বিস্ফোরণের শব্দ পান তারা। দ্রুত তাঁরাই দমকলে খবর দেন। এরপরই ঘটনাস্থলে একে একে ২০টি ইঞ্জিন পৌঁছয়। দমকল এবং ডিএমজি কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করেন রাতেই। এরপর শনিবার সকালেও চলছে আগুন নেভানোর কাজ। সঙ্গে দমকল আধিকারিকেরা এও জানান, আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়েছিল আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতেও।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এদিকে বিশাল জায়গা জুড়ে থাকা কাঠের গোলার উপরে শ্রমিকরা বসবাস করেন। কাঠের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এই এলাকায় নতুন কিছু নয়। এর আগেও এই এলাকায় কাঠের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার আগুন আশপাশের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্ক তৈরি হয়।
এদিনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, দমকল নিয়ন্ত্রণ করায় আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারেনি খুব বেশি। কিন্তু ভিতরে সমস্ত কাঠ মজুত থাকায় আগুন কখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে, তা বলতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে, এদিনের ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, বিধায়ক শশী পাঁজা এবং কাউন্সিলরদের নিয়ে এই বিষয়ে মিটিং করেছিলেন তিনি। সেখানে বেশ কিছু বিষয়ে পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল। সেই বিষয়গুলি যথাযথভাবে দেখা হয়নি বলে মনে করছেন তিনি।
এদিকে দমকল আধিকারিকেরা জানান, কীভাবে আগুন লেগেছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে, কাঠের গোডাউনের মধ্যেই গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে রান্না হয় বলে অভিযোগ। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও কেন সতর্ক হয় না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সুজিত বসু। তাঁর আরও দাবি, আগুন নেভাতে গিয়েও ওই হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে দমকলকর্মীদের। এই প্রসঙ্গেই মন্ত্রী এও বলেন, ‘এরপর আমি আইনি পথে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব। কর্মরত অবস্থায় আমার কর্মীদের আঘাত করলে আমি মেনে নেব না।’