দুর্গাপুজোয় অনুদান না নেওয়ার প্রতিবাদটা এই জেলা থেকেই শুরু হয়েছিল। সেই পথেই হাঁটল আরও এক পুজো কমিটি। জানিয়ে দিল, ‘অনুদান নয়, বিচার চাই’। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই পুজো কমিটি আবার মহিলা পরিচালিত। শহর বা মফস্বল নয়, এবার আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদের ঢেউ প্রত্যন্ত গ্রামেও। পুজোর অনুদানের জন্য আবেদনই করবেন না, সাফ জানিয়ে দিলেন তারকেশ্বরের আস্তারা গ্রামের মা শারদজননী দুর্গোৎসব পুজো কমিটি। এর আগে উত্তরপাড়ার শক্তি সংঘ ক্লাব জানিয়ে দিয়েছিল, রাজ্য সরকার পুজোর অনুদান হিসাবে ক্লাবগুলিকে যে ৮৫ হাজার টাকা দিচ্ছে, তা তারা নেবে না। আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ স্বরূপই তা নিতে অস্বীকার করে উত্তরপাড়ার পুজো কমিটি। এবার আরও এক পুজো কমিটি সে পথেই হাঁটল।
ফি বছর যেখানে মাতৃপ্রতিমা প্রতিষ্ঠা করে পুজো হয়, সোমবার সেখানেই তিলোত্তমাকে স্মরণ করলেন পুজো কমিটির সদস্যরা। পুজো পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রুমা ধাড়া জানান, ‘আমাদের পুজোমণ্ডপ যেখানে হয়, যেখানে মা দুর্গার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করি, সেখানে দাঁড়িয়েই আজ আমরা তিলোত্তমার বিচার চাইলাম। মেয়েটা ডাক্তার হতো, ও ওর অদৃশ্য দশ হাতে কত মানুষের প্রাণ বাঁচানোর শপথ নিয়েছিল। অথচ এভাবে নৃশংসভাবে শেষ করে দেওয়া হল। আর কোনও মায়ের কোল যেন খালি না হয়, আমরা সেটাই চাই। ডাক্তারটা আমাদের কাছে ভগবানের মানসরূপ।’
এবার পাঁচ বছরে পড়ছে মহিলা পরিচালিত এই পুজো। সরকারের কাছে অনুদানের জন্য আবেদনও করেছিল এই পুজো কমিটি। তবে তিলোত্তমার নির্মম পরিণতির পর অনুদান নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই, বলছেন কমিটির সদস্যরা। বদলে তাঁরা বলছেন, ‘বিচার চাই।’ এই পুজো কমিটিরই অপর এক সদস্য চৈতালি জানা এই প্রসঙ্গে জানান, ‘আমাদের ঘরেও তো মেয়ে, বোন আছে। এটুকু নিরাপত্তা যদি না থাকে তাহলে কীভাবে বেরোবে ওরা। সঠিক বিচার পেলে আমরা অনুদানের জন্য না হয় আবার আবেদন করব।’