পিস রুম খোলার পর এবার রাজভবনে খোলা হল অ্যান্টি কোরাপশন সেল। বেশ কয়েকজন আধিকারিক ওই সেলের দায়িত্বে রয়েছেন। রাজ্যের যে কোনও মানুষ, যে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে পারেন ওই সেলে। অভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন আধিকারিকরা। পুরো সমাজ, বিশেষত শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত করতে এই পদক্ষেপ করেছেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, ভোটের সময় সন্ত্রাসের একগুচ্ছ অভিযোগ সামনে আসার পর পিস রুম খুলেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এরপর আরও এক বড় পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রকে দুর্নীতি-মুক্ত করতে একটি পৃথক কমিটি তৈরি করেছিলেন রাজ্যপাল। কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সেটা ‘অ্যান্টি কোরাপশন কমিটি’ খতিয়ে দেখবে বলে জানানো হয়েছিল। আর এবার রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ করলেন তিনি।
এদিন রাজ্যপাল স্পষ্ট বার্তা দেন, ‘কোনও প্রকারের দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না।’ তিনি জানিয়েছেন, কেউ টাকা নিচ্ছে দেখা গেলেই তা ছবি তুলে জানানো যেতে পারে রাজভবনের ওই সেলে। ইতিমধ্যেই ওই সেল খোলা হয়েছে। তবে অনেকেই অভিযোগ জানানোর আগে নিজের নাম, পরিচয় নিয়ে সতর্ক থাকছেন। এদিকে সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এক আধিকারিক জানান, অনেকেই বুঝতে পারছেন না ঠিক কোন অভিযোগ জানানো যাবে। আবার কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, তাঁদের নাম, পরিচয় গোপন থাকবে কি না। অভিযোগকারীদের সব বিষয় বুঝিয়ে দিচ্ছেন আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপালকে স্বৈরাচারী বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই প্রসঙ্গে এদিন রাজ্যপাল জানান, ‘শিক্ষামন্ত্রীর সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। শীর্ষ আদালতকে সম্মান করি। সুপ্রিম কোর্ট যা বলবে, সেটাই মেনে নেব। আমরা শুধু চাই শিক্ষা দুর্নীতি-মুক্ত হোক।’