যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর পরই নতুন উপাচার্য নিয়োগ করেন আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। নতুন এই উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাজভবনে পর্যালোচনা বৈঠক করতে দেখা গেল বিশ্ববিদ্যালয়েরই আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে।
সূত্রের খবর, প্রয়োজনে যাদবপুরে তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করা হতে পারে বলে পর্যালোচনা বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন আচার্য সিভি আনন্দ বোস। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে আচার্য স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, যা করতে হবে সবই ইউজিসির নিয়ম মেনে করতে হবে। হস্টেলের ঘর যাঁদের নামে বরাদ্দ, সেই আবাসিক বাদে আর কেউ সেখানে থাকবে না। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় তদন্ত বন্ধ করেছিল অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি। এদিকে এদিনের বৈঠকে আচার্য উপাচার্যকে নির্দেশ দেন, দরকার মনে করলে বুদ্ধদেব সাউ বিশ্ববিদ্যায়ের অভ্যন্তরীণ যে তদন্ত কমিটি, তা পুনর্গঠন করতে পারেন। চাইলে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকেও মাথায় বসিয়ে নতুন কমিটিও তৈরি করতে পারেন। প্রসঙ্গত, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর পর দু’টো পৃথক তদন্ত শুরু হয়। অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড নিজেদের মতো তদন্ত করছিল। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটিও তদন্ত করছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটি তদন্ত শুরু করার পর অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড তাদের তদন্ত বন্ধ করে দেয়। উপাচার্য সেই তদন্ত আবারও শুরু করার নির্দেশ পেলেন আচার্যের কাছ থেকে। অন্যদিকে র্যাগিং রুখতে ইউজিসির যা যা নিয়ম আছে, তা যেন কঠোরতার সঙ্গে মেনে চলা হয় সেই নির্দেশও দেন আচার্য। এদিকে সূত্রে এ খবরও মিলেছে, আচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পরই ফের এই অ্যান্টি র্যাগিং কমিটিকে তদন্ত করার নির্দেশ দিতে চলেছেন উপাচার্য।
যাদবপুরে প্রথমবর্ষের ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে তোলপাড় রাজ্য। গত ৯ অগাস্ট এই ঘটনা ঘটে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই সময় দেশের অন্যতম উৎকর্ষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও উপাচার্য ছিলেন না। স্থায়ী উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মাঝে একবার একজন অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পরে তাঁর নির্দেশেই পদ থেকে সরতে হয় ওই অস্থায়ী উপাচার্যকে। এ নিয়েও কম তরজা হয়নি। সে আবহেই আরেকজনকে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল।