দোলের সময় ইডি হেপাজতে দিল্লি যাত্রা অনুব্রত মণ্ডলের। এরপর তিহাড় সংশোধনাগারে ঠাঁই। এর কিছুদিন পরই হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিও গ্রেপ্তার হন ইডি-র হাতেই। এরপর এই তালিকায় আসে অনুব্রত কন্যা সুকন্যার কথাও। এদিকে জামিন পেতে আইনজীবী মারফত আবেদন জানিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রে খবর, আগামী ১৮ জুলাই দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর জামিন মামলার প্রেক্ষিতে শুনানি হতে চলেছে।
এদিন দিল্লি হাইকোর্টে ইডি-র আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু সওয়ালে জানান, সিবিআই মামলা সূত্রে আসানসোল জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করা জরুরি মনে করেছিল ইডি। এদিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। যদিও সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। অন্যদিকে, মামলা লড়ার জন্য টাকা জোগাড় করতে পারছেন না অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা, এই মর্মে জামিনের আবেদন করেছেন সুকন্যা। তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে আগেই। এদিকে বাবাও এই মুহূর্তে তিহাড় জেলে। এই পরিস্থিতিতে মামলা লড়াই করার জন্য টাকার প্রয়োজন। আর সেই টাকার ব্যবস্থা করতেই ছয় সপ্তাহের জন্য জামিন চান সুকন্যা। এই অবস্থায় তাঁর আত্মীয় পরিজনরাও টাকা দিয়ে সাহায্য করতে ইতস্তত বোধ করছে বলেও জানিয়েছেন সুকন্যা। একইসঙ্গে জামিন পেলেও তিনি পালিয়ে যাবেন, এই আশঙ্কার কোনও জায়গা নেই বলে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে জানিয়েছেন তিনি।
যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। ইডি-র তরফ থেকে জানানো হয়, সুকন্যা প্রভাবশালী। তিনি যদি জামিন পান সেক্ষেত্রে তথ্য প্রমাণ নষ্ঠ করার চেষ্টা চালাতে পারেন। যদিও ইডি-র জেরায় সুকন্যা দাবি করেছিলেন, গোরু পাচার প্রসঙ্গে তিনি কোনও তথ্য জানেন না। কিন্তু, তদন্তকারীদের দাবি, সুকন্যার নামে চালকল থেকে শুরু করে একাধিক সংস্থা ছিল। এখন ১৮ জুলাইয়ের দিকে তাকিয়ে অনুব্রত আর সুকন্যা।