জামিন পেলেন অনুব্রত

জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। ২০২২ সালে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল অনুব্রতকে। সিবিআই মামলায় জামিনের পর শুক্রবার ইডির মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত অনুব্রতর জামিন মঞ্জুর করে অনুব্রতর।

 

জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। ২০২২ সালে গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল অনুব্রতকে। সিবিআই মামলায় জামিনের পর শুক্রবার ইডির মামলায় জামিন পেলেন অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত অনুব্রতর জামিন মঞ্জুর করে অনুব্রতর। এর ফলে প্রায় ২ বছর পর শনিবার তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পেতে চলেছেন অনুব্রত। কারণ, সিবিআই মামলায় জামিন পেলেও ইডি-র মামলায় তিনি জামিন পাননি। এবার সেই মামলাতেও জামিন পেলেন অনুব্রত।

ইডি-র দায়ের করা গোরু পাচার মামলায় এ বার জামিন পেলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। শুক্রবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালত শর্ত সাপেক্ষে তাঁর জামিনের আর্জি মঞ্জুর করেছে। এর আগে গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই-এর দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছিলেন অনুব্রত। দোর্দণ্ড প্রতাপ তৃণমূল নেতার মেয়ে সুকন্যাও গোরু পাচার মামলায় গত ১০ সেপ্টেম্বর শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেলেন। আদালত ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়েছে অনুব্রতকে। তবে তাঁকে জামিন দিয়ে বেশ কিছু শর্তও আরোপ করেছে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। জানাতে হবে মোবাইল নম্বর এবং দিল্লির ঠিকানাও।

২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গ্রেফতার করা হয়েছিল বীরভূমের এই তৃণমূল নেতাকে। অনুমান করা হচ্ছে, পুজোর আগেই তিনি জেলমুক্ত হতে পারবেন। ফিরতে পারবেন বীরভূমে। গোরু পাচারে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল ইডি। তদন্তে নেমে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

সম্প্রতি গোরু পাচার মামলায় জামিন মঞ্জুর হয় অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। ২০২৩ সালে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। দু’জনেই দীর্ঘদিন ধরে তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন। তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল। বার বার জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন অনুব্রত। তাঁর আইনজীবী সওয়াল করেন, গোরু পাচার মামলায় অন্য অভিযুক্তেরা ছাড়া পেলেও কেন তাঁর মক্কেলকে আটকে রাখা হচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থার তরফে পাল্টা অনুব্রতের জামিনের বিরোধিতা করা হয়। বলা হয়, জামিন পেলে তিনি সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারেন।

এই খবরে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত বোলপুরের তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। বীরভূমে অনুব্রত ফিরলে ফের জেলা সভাপতি হিসেবে রাশ ধরবেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, গ্রেফতারির পর থেকে তাঁর পদে কাউকে বসায়নি দল। প্রসঙ্গত, চলতি বছর লোকসভা ভোটের আগে বীরভূমে প্রচারে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উল্লেখ করেছিলেন, ভোটে যাতে কাজ করতে না পারে, সেই লক্ষ্যেই অনুব্রতর জামিন খারিজ করা হচ্ছে। ভোট মিটলেই জামিন পেয়ে যাবে। জেলের বাইরে বেরতে পারবে। বাস্তবে হলও তাই।

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 1 =