লোকসভা নির্বাচনের আগে ধর্মতলায় বিজেপির মেগা সমাবেশ হল ঠিকই তবে তাতে আঁচ মিলল গোষ্ঠীকোন্দলের। সমাবেশে আমন্ত্রণই পেলেন না অনুপম হাজরা। আর তাতেই ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। সঙ্গে এও জানান, ‘বিজেপি আমাকে এড়িয়ে চলে। উচ্চ নেতৃত্বের সভায় আমায় ডাকা হয় না। অথচ শীর্ষনেতৃত্বের সভায় থাকার ইচ্ছা থাকে সকলেরই।’ এরই রেশ ধরে অনুপম হাজরা বুধবার এও জানান, বছরখানেক আগে এরকমই একটি সভায় বিনা আমন্ত্রণেই গিয়েছিলেন। অথচ সেখানে তাঁর বসার জন্য একটি চেয়ারও পাননি। অনুপমের এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আরও একবার বিজেপির ঘরোয়া কোন্দলই যে প্রকাশ্যে এল সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
উল্লেখ্য, বেপরোয়া অনুপম হাজরাকে সামলাতে নাজেহাল বঙ্গ বিজেপি। দলের এই কেন্দ্রীয় নেতা যত মুখ খুলছেন রাজ্য বিজেপির কোন্দলের কদর্য চেহারাটা আরও সামনে চলে আসছে। কদিন আগেই রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতাদের কুকর্মের তথ্য প্রমাণ জানানোর জন্য হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিয়েছিলেন। কুকর্ম ফাঁস করার হুমকিও দিয়েছিলেন।
অনুপম হাজরা যেভাবে প্রকাশ্যে রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দিয়েছেন, তাতে চাপে পড়েন দলের রাজ্য নেতারা। জে পি নাড্ডাকে নালিশও জানান তাঁরা। বঙ্গ বিজেপির এই কোন্দল ও নেতাদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি নিয়ে বিরক্ত খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা, সম্ভবত এই ঘটনার জেরেই শাহি সভায় আমনত্রণ জানানো হয়নি অনুপমকে।