রাজ্যের ‘অপরাজিতা বিল’ ধাক্কা খেল রাজভবনে। রাজ্য সরকারের অপরাজিতা বিলকে ‘পলিটিকাল গিমিক’ বলে খোঁচা রাজভবনের। এই বিলের টেকনিকাল রিপোর্টও চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনের মতে, কোনও বিল সইয়ের জন্য পাঠানো হলে তার টেকনিকাল রিপোর্ট দেওয়ার দায়বদ্ধতা রাজ্যেরই।
রাজভবনের মত, অন্ধ্র প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অরুণাচলেও একই বিল পাস হয়েছে। রাজ্যের বিল সেই বিলেরই ‘কপি পেস্ট’, বলছেন রাজ্যপাল। টেকনিকাল রিপোর্ট ছাড়া রাজ্যপাল যে এই বিল সই করবেন না, তাও নিশ্চিত করে দেন তিনি। ফলে এই বিল নিয়ে আবারও যে রাজ্য-রাজভবনের মাঝে এক সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি হতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
আরজি করকাণ্ডের আবহে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডেকে ‘অপরাজিতা বিল’ পাশ করা হয়। বিরোধীরাও সমর্থন জানায় বিলে। এই বিল সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়েই বলেন, ‘এই বিলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান আনা হয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া যাতে মহিলা বা শিশুর পরিচয় সামনে না আসে, সেটাও বলা রয়েছে। এই ক্ষেত্রেও আমরা ৩ থেকে ৫ বছরের সাজার প্রস্তাব রাখছি।’
এই বিল রাজভবনে পাঠানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হয়। তবে এই বিলে রাজ্যপাল যে সহজে সই করবেন না তা রাজভবনের বক্তব্যে স্পষ্ট। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার বক্তব্য,‘রাজনৈতিকভাবে এবং সরকারিভাবে বাঁচার জন্য সরকার এই বিল তৈরি করেছে। নজর ঘোরানোর বিল এটা।’ অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘দলীয় সভায় ঘোষণা করে ২ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী একটা বিল এনেছেন। আড়াই তিনদিনে তো এভাবে বিল হয় না। এটায় কোনও নতুনত্ব নেই।’