কলকাতা পুলিশের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ আরাবুল

কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধেই অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ আরাবুল ইসলাম। আরাবুলের দাবি, নির্বাচনের আগে পুলিশ অতি স্বক্রিয়। পুলিশ অতি সক্রিয় হয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে আরাবুলকে।  এই মর্মেই মামলা দায়ের করার আবেদন জানানো হয়। এই মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এর কারণ হিসাবে তাঁর আইনজীবী আদালতে উল্লেখ করেন, গ্রেফতার করার পর আরও দুটো মামলায় যুক্ত করা হয়েছে আরাবুলকে। তখনই কলকাতা পুলিশের কাছে জানতে চাওয়া হয় মোট কটা কেস রয়েছে ভাঙড়ের এই তৃণমূল নেতার নামে। তবে এর কোনও সদুত্তর মেলেনি কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে। আর সেই কারণেই আদালতের দারস্থ হন আরাবুল ইসলাম। আদালত সূত্রে খবর, আগামী ৪ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি তোলাবাজি ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন আরাবুল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে যে খুনের অভিযোগটি ওঠে, সেটা অত্যন্ত পুরনো। বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন সময়কার একটি মামলা। গত বছর ১৫ জুনের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন খুন হয়েছিলেন মইনুদ্দিন মোল্লা নামে এক আইএসএফ কর্মী। খুনের অভিযোগে প্রথমেই নাম ছিল আরাবুলের বিরুদ্ধে। কিন্তু ১৫ জুন, ২০২৩ সালের মামলায় হঠাৎ করেই চলতি বছর ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অতর্কিতে হানা দিয়ে বাড়ি থেকে তাঁকে তুলে নিয়ে আসে পুলিশ। গ্রেফতারির আগে আরাবুলের বিরুদ্ধে আবার ভাঙড়ে লক্ষ লক্ষ টাকার তোলাবাজিরও অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সেই ধারাও যুক্ত করে। এবার অভিযোগ, নিত্য নতুন  মামলায় পুলিশ আরাবুলকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এবার সেই অভিযোগ তুলেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ আরাবুল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − 10 =