শনিবার সকাল থেকেই দিকে দিকে কানে আসছে ভারী বুটের আওয়াজ। শনিবার সকালে থেকেই শুরু হয়েছে কেন্দ্রী. সেনা বাহিনীর রুট মার্চ। যার সঙ্গে পা মেলাতে দেখা গেল রাজ্য পুলিশের পদস্থ কর্তাদেরও। উত্তর থেকে দক্ষিণ এটাই এখন ছবি। যেমন জলপাইগুড়িতেও শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে গেছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ। জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে রুট মার্চ শুরু করেন ডিএসপি,আইসি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা। স্বয়ংক্রিয় রাইফেল হাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রুট মার্চ করতে দেখে খুশি গ্রামের মানুষজন।
এদিকে এদিন শিলিগুড়ি এসে পৌঁছায় এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিএসএফের তরফে এক কোম্পানি বাহিনী এদিন সকালে এসে পৌঁছায়। আরও ৩ কোম্পানি বাহিনী জেলায় আসার কথা আছে। সূত্রে খবর, ধূপগুড়িতেও পৌঁছেছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন ধূপগুড়ির এসডিপিও গেনইলসন লেপচা ও পুলিশ আধিকারিক হৃষিকেশ লামা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে রুট মার্চ করেন।
একই ছবি দক্ষিণবঙ্গেও। শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় রুটমার্চ। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক কোম্পানি সিআইএসএফ ঢোকে বর্ধমানে। শনিবার সকালে বাহিনী তিন ভাগে ভাগ হয়ে এক ভাগ শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় রুটমার্চ করে। গত নির্বাচনে এই এলাকার বেশকিছু জায়গায় অশান্ত হয়েছিল। অভিযোগও জমা পড়েছিল। এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা যায় জওয়ানদের। এদিন বাহিনীর বাকি সদস্যদের একভাগ শক্তিগড় ও একভাগ দেওয়ানদিঘি এলাকায় রুটমার্চ করে।
একই ছবি বীরভূমেও। সেখানেও পৌঁছেছে তিন কোম্পানি বাহিনী। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় মোট চার কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা রয়েছে। এদিন সকাল থেকে সদাইপুর থানা এলাকার দুর্লভপুর, রাজগঞ্জ, করমকাল, হাজরাপুর, পারুলিয়া গ্রামে রুটমার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।
একই ছবি উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরেও। শনিবার ব্যারাকপুরে এসে পৌঁছায় ৪ কোম্পানি আধা সেনা। জগদ্দল, ভাটপাড়া, টিটাগড়-সহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় তাঁদের টহল দেওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে নৈহাটি আরবিসি কলেজ থেকে তাঁদের ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে বলে খবর।