রাজ্য চারুকলা পর্ষদের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন শিল্পী সনাতন দিন্দা। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুকের পাতায় সনাতন লেখেন, ‘আমি সনাতন দিন্ডা। পিতা স্বর্গত শ্রী রতি কান্ত দিন্ডা , মাতা স্বর্গত শ্রীমতি পারুল দিন্ডা , বোন নিহত ‘ তিলোত্তমা’দিন্ডা। আদি নিবাস ‘কুমারটুলী’ আর. জি. কর হাসপাতাল সংলগ্ন প.ব। দীর্ঘ দিন ‘রাজ্য চারু কলা পর্ষদের ‘কার্যকারী সদস্য ছিলাম । দীর্ঘ অনুপস্থিত এবং আমার কোনো ভূমিকা সেখানে ছিল না । তার পরও এখানকার সদস্য পদ থেকে নিজেকে মুক্ত করলাম ।’
২০১১ সাল থেকে রাজ্য চারুকলা পর্ষদের সদস্য সনাতন। নিজের পোস্টে আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসক-পড়ুয়াকে ‘বোন’ হিসেবে উল্লেখ করেন শিল্পী। এই প্রসঙ্গে শিল্পী সনানত এও জানান,‘আমার ‘রক্তের সম্পর্কের বোন’ ধর্ষিতা হয়ে খুন, আমি এর বিচার চাই। আমার ‘বোন’-এরা কাঁদছে, ‘মা’-এরা কাঁদছে! অথচ, চারুকলা পর্ষদের সদস্যরা নিশ্চুপ। নীরব। তাঁদের কোনও প্রতিবাদ নেই! তাঁদের নীরবতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তাঁরা কী শান্তিতে বাড়িতে মুখ কুলুপ এঁটে বসে আছেন। কিন্তু আমি পারছি না। আমার ‘বোন’ আজ মৃত, আমার গায়ে আঁচ লেগেছে। ১৪ তারিখ থেকে আমি রাস্তায়। যতদিন না বিচার পাব, স্বাভাবিক জীবনে ফিরব না।’ একইসঙ্গে সনাতন এও জানান, ‘ আমি নিজের শিঁড়দাড়া সোজা করে যাতে বাঁচতে পারি, তাই চারুকলা পর্ষদের সদস্যদের সঙ্গ ত্যাগ করলাম।’
উল্লেখ্য, প্রাবন্ধিক ও লেখক আশিস লাহিড়ীও বুধবার ‘বিদ্যাসাগর পুরস্কার’ ফিরিয়ে দিতে চেয়ে রাজ্যের সচিবকে চিঠি দিয়েছেন। একই পথে হেঁটেছেন প্রাবন্ধিক তথা কবি শঙ্খ ঘোষের ভাই অভ্র ঘোষও। সম্প্রতি উত্তরপাড়ার বিধায়ক ও অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিকের বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সরকারি পুরস্কার ফিরিয়ে দেন নাট্যকার চন্দন সেন ও বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং অভিনেতা সুদীপ্তা চক্রবর্তী।