জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়াবে এমন আগাম সংকেত দিয়েই রেখেছিল ডিভিসি অর্থাৎ দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। তার জন্য কড়া নজরদারি শুরু হয়েছিল নবান্ন থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন তাঁর মন্ত্রী পরিষদদের। বাস্তবে ঘটনা ঘটলও তাই। শুক্রবার রাত থেকেই ৭০ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া শুরু করে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন। শনিবার সকাল ৭টা থেকে ৭০,৪৭৫ কিউসেক হারে জল ছাড়া হয় দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে। সঙ্গে বন্যার কমলা সতর্কতা জারিও করে ডিভিসি।
জানা গিয়েছে,ঝাড়খণ্ড লাগোয়া বিহারের উপর নিম্নচাপ রয়েছে। তার ফলে ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি এতটাই বেড়ে যায় যে ডিভিসি বেশি জল ছাড়তে শুরু করে। একাধিক নদীর জলস্তর বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন নবান্ন। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে ডিভিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলেন মুখ্য়সচিব মনোজ পন্থ।
এদিকে সূত্রে খবর, জল ছাড়ার আগে রাজ্যের সঙ্গে পরামর্শ করার জন্য ডিভিসি কর্তৃপক্ষের কাছে বার্তা পাঠান মুখ্যসচিব। অন্যদিকে, ডিভিসির তরফে জানানো হয়েছে সেচ দফতর ও রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয়ে রেখেই জল ছাড়া হবে। না জানিয়ে জল ছাড়া হবে না।
এদিকে, ডিভিসির ছাড়া জলে হাওড়ার আমতায় ভেসে যায় দু’টি বাঁশের সেতু। শুক্রবার গভীর রাতে ঢেউয়ের ধাক্কায় আমতার দু’নম্বর ব্লকের গায়েন পাড়া এবং কুলিয়ায় দু’টি বাঁশের সেতু ভেঙে যায়। ফলে মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন আমতা দু’নম্বর ব্লকের ভাটোরা দীপাঞ্চল। যদিও হুগলির সঙ্গে সংযোগকারী জাঙ্গিপাড়ায় বাঁশের সেতুটি এখনও কোনওরকমে টিকে আছে।গত কয়েকদিনে ডিভিসি থেকে দফায় দফায় জল ছাড়ার ফলে বাড়তে থাকে মুণ্ডেশ্বরী নদীর জলস্তর।