রাত বাড়তেই গণনাকে কেন্দ্র করে হাওড়া সদরের একাধিক জায়গায় সামনে এল বিক্ষিপ্ত অশান্তির ছবি। বহু জায়গাতেই গণনা শুরুর পর থেকে বিরোধী এজেন্টদের বেধড় মারধর করার খবর মেলে। একইসঙ্গে অনেককেই আবার গণনাকেন্দ্র থেকে বেরও করে দেওয়া হয়। উত্তেজনার আবহে নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় সাঁকরাইলের খোদ ভোট কর্মীরাই গণনা বন্ধ দেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুক্ষণ ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় ওই এলাকায়।
সূত্রের খবর, গণনা শুরু হওয়ার পর দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় ডোমজুড় আজাদ কলেজের গণনাকেন্দ্রে। এখানে বিরোধী দলের এজেন্টদের পেটানো হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির শাসকদল তৃণমূলের দিকে। ঘটনায় ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মী-সমর্থকেরা।
অন্যদিকে সাঁকরাইলের সিকম কলেজে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। সাঁকরাইল কেন্দ্রের ভোট গণনা হচ্ছিল এখানে। এখানে বাম এজেন্টদের মারধর করে গণনা কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সিপিএমের অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়ক প্রিয়া পালের লোকজন গণনাকেন্দ্রে ঢুকে ঝামেলা তৈরি করে। আর এইসব ঘটনা ঘটে পুলিশের সামনেই। তবে কার্যত কোনও পদক্ষেপই নিতে দেখা যায়নি পুলিশকে।
এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষ জানান, ‘অনেক পঞ্চায়েত আমাদের দখলে আসার কথা ছিল। কিন্তু, দিকে দিকে গণনা কেন্দ্রে ব্যাপক অশান্তি হয়েছে। আমাদের এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গায় তো গণনা কেন্দ্রের বাইরে তৃণমূলের লোকজন বন্দুক নিয়েও ঘুরছে। কিন্তু, জনতার আদালত কোনওদিনই এদের ক্ষমা করবে না।’