মেডিক্যাল ডিগ্রি নিয়ে বিভ্রাটের জেরে আরজি কর আন্দোলনের মুখ আসফাকুল্লা নাইয়াকে তলব করে পুলিশ। সোমবারই তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিন তিনি হাজিরা না দিয়ে পাল্টা ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় মেল করে জানিয়েছেন, কেন তাঁকে তলব করা হয়েছে, তা বিশদে জানাতে। এরই পাশাপাশি পুলিশি তলব আটকাতে হাইকোর্টেরও শরনাপন্ন হন তিনি। এরই প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে সোমবার একটি মামলা দায়ের করা হয়। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। আধালত সূত্রে খবর, এই মামলার শুনানির সময় নির্দিষ্ট করা হয়নি।
মামলায় বলা হয়েছে, একেবারে বেআইনি ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ডাক্তারিতে উচ্চ শিক্ষিত দাবি করে প্র্যাকটিস করছেন। বিভিন্ন ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এমনকি প্রায় ৩০ জন পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে তল্লাশির নামে আতঙ্ক ছড়িয়েছেন।
প্রসঙ্গত, আসফাকুল্লার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ তুলেছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশন। সিঙ্গুরে একটি স্বাস্থ্য় পরিষেবার আয়োজন করেছিল এক সংস্থা। সেই সংস্থার বিজ্ঞাপনে আসফাকুল্লা নিজেকে ‘এমএস’ বলে দাবি করেছেন। যা নিয়ম বহির্ভূত।
এরপরই গত বুধবার আসফাকুল্লাকে শোকজ করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। পিজিটি হয়েও ইএনটি সার্জনের পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আসফাকুল্লাকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর কাকদ্বীপের বাড়িতে হানা দিয়েছিল বিধাননগর পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের রামতনু নগর এলাকায় আসফাকুল্লার বাড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে বিধাননগর পুলিশের একটি দল যায়। বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করে নিয়ে যান তদন্তকারীরা।