‘যাব’ বলে আগে জানালেও পুলিশে তলবে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে দেখা গেল না আরজি কর আন্দোলনের জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়াকে। জিটি (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি) হয়েও ইএনটি সার্জনের পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই কারণে তাঁকে সোমবার তলব করে পুলিশ। পাশাপাশি তাঁকে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এলেন না আসফাকুল্লা। সূত্রে খবর, ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় মেল করে তিনি পাল্টা জানিয়ে দিলেন কেন তলব তা বিশদে জানাতে হবে মেল করে।
প্রসঙ্গত, আসফাকুল্লার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ তুলেছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশন। সিঙ্গুরে একটি স্বাস্থ্য় পরিষেবার আয়োজন করেছিল এক সংস্থা। সেই সংস্থার বিজ্ঞাপনে আসফাকুল্লা নিজেকে ‘এমএস’ বলে দাবি করেছেন। যা নিয়ম বহির্ভূত। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।
গত বুধবার আসফাকুল্লাকে শোকজ করে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। পিজিটি হয়েও ইএনটি সার্জনের পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আসফাকুল্লাকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর কাকদ্বীপের বাড়িতে হানা দিয়েছিল বিধাননগর পুলিশ। তা নিয়েও যথেষ্ট চর্চা হয়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের রামতনু নগর এলাকায় আসফাকুল্লার বাড়ি।বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে বিধাননগর পুলিশের একটি দল যায়। বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করে নিয়ে যান তদন্তকারীরা। যদিও সেক্ষেত্রেও অভিযোগ, কোনও রকম নোটিস না দিয়েই পুলিশ এসেছিল। তারপরই আসফাকুল্লাকে তলব করে পুলিশ। প্রথমে পুলিশি তলবে সাড়া দেবেন বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু এদিন ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় মেল করে জানালেন কেন তাঁকে তলব করা হল, তা বিস্তারিত না জানালে তিনি জানাবেন না।