আসফাকুল্লার মামলায় কেস ডায়েরি তলব হাইকোর্টের

জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার মামলায় কেস ডাইরি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি যে পদ্ধতিতে এফআইআর  করা হয়েছে তা নিয়ে রাজ্যকে তোপ দাগতে দেখা গেল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষকে। সঙ্গে এ প্রশ্নও মঙ্গলবার বিচারপতিকে করতে দেখা যায় যে, এম এস ইএনটি হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেছেন এমন প্রমাণ কোথায় তা নিয়েও। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে, প্রেসক্রিপশন ছাড়া কীভাবে এই মামলা রুজু করলেন সে ব্য়াপারেও। সব মিলিয়ে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ এটা ‘হেজি এফআইআর’।

এই মামলার শুনানির সময় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘এমবিবিএস হিসেবে তিনি প্র্যাকটিস করতে পারেন।’ শুধু তাই নয়, এদিন বিচারপতি ভর্ৎসনার সুরে এও বলেন, ‘মামলাকারী রোগী নন। যেই থানায় গেলেন আপনারা দ্রুত কেস শুরু করে দিলেন? অনেক জায়গায় তো জিডি করে ফেলে রাখেন।’

এরপর বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের প্রশ্ন, সিজার লিস্ট কিছু আছে কি না তা নিয়েও। সেখানে দেখতে হবে উনি এই কোয়ালিফিকেশন দিয়ে রোগী দেখছেন কি না তা নিয়েও। এছাড়া প্রেসক্রিপশন কোথায় তা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। এরই রেশ ধরে এ প্রশ্নও আসে, যেখানে কোনও রোগী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেনি, সেখানে কী করে তদন্ত শুরু হল তা নিয়েও। বুধবার ফের এই মামলার শুনানি।

এরই পাশাপাশি বিচারপতির মন্তব্য, ‘তদন্ত যেভাবে হয়েছে তাতে আমি হতাশ। কারণ এফআইআর নূন্যতম তথ্য সামগ্রীর প্রয়োজন।’

অপরদিকে, আসফাকুল্লা নাইয়ার আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘এক ব্যক্তি আসফাকুল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, বেসরকারি চিকিৎসা কীভাবে চালাচ্ছেন প্রশিক্ষণ নেওয়া অবস্থায়।’ রাজ্যের তরফে শীর্ষণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আরজি করের প্রতিবাদী মুখ ছিলেন। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা হয়েছে কেউ বলেনি।’ সঙ্গে এও সওয়াল করেন, ‘অতিরিক্ত কোয়ালিফিকেশন সম্পর্কে কোনও তথ্য নেই। এমএস ইএনটি বলে পরিচয় দেন? প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী দেখতেন।’

সম্প্রতি, আসফাকুল্লাকে শোকজ করেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। পিজিটি হয়েও এমএস পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। আসফাকুল্লাকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এরই মধ্যে তাঁর কাকদ্বীপের বাড়িতে হানা দিয়েছিল বিধাননগর পুলিশ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 2 =