ভূতুড় সিমের তদন্তে নেমে ধুবড়ি ও মোরিগাঁওতে অভিযা চালালো অসম এসটিএফ। এরপরই অসম পুলিশের জালে পড়ে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও ১৫ জন। এর আগে ঘোস্ট সিমের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার আরও ১৫জনের খোঁজ মেলায় এখন ধৃতের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ২২-এ। গোয়েন্দাদের অনুমান, ভুয়ো নথি ব্যবহার করেই তোলা হয়েছে এই সব সিম।
এদিকে এসটিএফ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ছোট ছোট মোবাইল ফোনের ব্যবসায়ীদের মোটা অঙ্কের টাকার লোভ দেখিয়ে এই সমস্ত সিমগুলো তুলত ধৃতরা। সিম অ্যাক্টিভ করা হত। ভারতীয় মোবাইল নম্বর অ্যাক্টিভ করে, সেই নম্বর হোয়াটসঅ্যাপে অ্যাকাউন্ট খোলা হত। এরপর সেই অ্যাকাউন্টগুলোর অ্যাক্সেস চলে যেত পাক নাগরিকদের কাছে। অসম পুলিশের ডিজিপি এই বিষয়টা স্পষ্ট করে জানান, ধৃতদের কারোরই সাইবার ক্রাইম করার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। অ্যান্টি ন্যাশনাল অ্যাক্টিভিটির জন্যই এই সিমগুলো সংগ্রহ করা হত। এরপর এই সিমগুলোকে প্রযুক্তির মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলে তার অ্যাক্সেস দিয়ে দেওয়া হত পাকিস্তানের গুপ্তচরদের।
এদিকে ভারত পাকিস্তান উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তা ও গুপ্ত কিছু তথ্য আরও বেশি করে সুরক্ষিত করা। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের হাতে যে তথ্য রয়েছে তাতে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আইএসআই-এরএজেন্ট। মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের ওপর ভিত্তি করেই অসম এসটিএফ ও স্টেট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো ‘অপারেশন ঘোস্ট সিম’ চালায়। কারণ, ভারতের কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাতে কোনও ভাবেই গুপ্তচরদের হাতে না পৌঁছয়, তার ওপর বিশেষ নজর দিচ্ছেন তদন্তকারীরা।