বিধানসভায় রিভার কমিশন নিয়ে আলোচনায় প্রথমেই ছন্দপতন। বিজেপির বক্তা তালিকায় নাম সুমন কাঞ্জিলালের। এদিকে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ককে নিজেদের বলতে অস্বীকার করে বিজেপি। সঙ্গে বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষের স্পষ্ট বার্তা,’ উনি আমাদের কেউ নন, বাইরে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে ঘুরে বেড়ান।’ সঙ্গে এও জানান, ‘কয়েক মাস আগেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। সেই ছবি সামনে এসেছে, তারপরও সুমন কাঞ্জিলালের নামের পাশে বিজেপি কেন লেখা হল?’ এটা দ্বিচারিতা বলেও স্পিকারকে নিশানা করেন শঙ্কর ঘোষ।এরপরই নাম বাদের দাবিতে বিধানসভায় বিক্ষোভ ও ওয়াক আউট বিজেপির।
সুমন কাঞ্জিলাল কে এবং বক্তা তালিকায় বিজেপি বিধায়ক হিসাবে কেন তার নাম তা নিয়েই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সোমবারের অধিবেশন। সুমন কাঞ্জিলাল আলিপুরদুয়ার থেকে জিতে আসা বিজেপি বিধায়ক। পরে তিনি যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর এরই প্রেক্ষিতে বিজেপির স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অধিবেশন কক্ষ। পরিষদীয় রীতি মেনে আলোচনা করতে হবে দাবি বিজেপির। এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ জানান, ‘এই প্রতিবাদের অর্থ হয় না। গত ২৬ তারিখ সিদ্ধান্ত হয়েছিল, বুলেটিনেও প্রকাশ হয়েছিল যে সুমন কাঞ্জিলাল এই প্রস্তাব পেশ করেছেন বাকিদের সঙ্গে। তিনিও অন্যতম প্রস্তাবক এই আলোচনায়।’
এদিকে সুমন কাঞ্জিলালের অভিযোগ, ‘সংকীর্ণ রাজনীতি করল বিজেপি। মানুষ এদের জবাব দেবে। ডুয়ার্সের মানুষের যন্ত্রণার কথা এরা বুঝল না। উত্তরবঙ্গের মানুষের জ্বালা যন্ত্রণার কথা এরা বুঝল না।’
তবে তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। এরই প্রেক্ষিতে বিধানসভার বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ জানান, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্পিকারকে দেখা যাচ্ছে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছেন না। শাসক দলের হয়েই তিনি কথা বলছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আগামী দিনেও আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে।’ এরই পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, অধিবেশন কক্ষে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল তৃণমূল শিবিরের সঙ্গে বসবেন। আর আলোচনায় বক্তা হিসেবে যখন তাঁর নাম প্রকাশ করা হচ্ছে সেই নামের পাশে বিজেপি বিধায়ক কেন উল্লেখ থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সঙ্গে এও বলেন, এটা অসাংবিধানিক। এর বিরুদ্ধে বিজেপিকে যতদূর যেতে হয় যাবে।