বিধায়কদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিলে লাগাম বিধানসভার

বিধায়কদের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিল নিয়ে নানা সময়ই প্রশ্ন উঠেছে বিধানসভায়। এ নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। তবে এবার বিধায়কদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিলে লাগাম টানতে চাইছে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ। আর তারই জেরে চশমার খরচ বাঁধল বিধানসভা। স্পষ্ট নির্দেশিকা,সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা চশমার জন্য পাবেন বিধায়করা।
এদিকে সূত্রে খবর, ২০১৩ সালে তৎকালীন উদ্বাস্তু পুনর্বাসন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র একটি ৯৯ হাজার ৮৮০ টাকার বিল জমা দিয়েছিলেন। সেই বিল প্রসঙ্গে সাবিত্রী জানিয়েছিলেন,পার্ক স্ট্রিটের একটি দোকান থেকে দুটি চশমা করিয়েছেন। এক একটির দাম নিয়েছিল ৩৫ হাজার টাকা। আর একটা চশমা সারাই করতে আর রোজ যা ওষধ খান, তা মিলিয়ে ওই বিলা জমা দিয়েছিলেন। বিতর্কের মুখে পড়ে সেই বিল প্রত্যাহার করে নেন সাবিত্রী মিত্র।
পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেছিলেন, কোনও বিধায়ক চশমার জন্য পাঁচ হাজার টাকার বেশি খরচ করবেন না। সেই কথা আবারও নতুন করে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ মনে করিয়ে দিল মুর্শিদাবাদের এক বিধায়কের ঘটনার পরে। বাঁধা হল হাসপাতালের শয্যা বা বেডের খরচও। বেডের জন্য সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত দেবে বিধানসভা। তবে আইসিইউ বা আইটিইউ হলে বিষয়টি আলাদাভাবে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বিধানসভা।
সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের শাসকদলের এক বিধায়কের চোখের অস্ত্রোপচার হয়। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হয় তাঁর। চোখের অপারেশন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় লেন্স বা অন্য সব মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকার বেশি বিল জমা দেন মুর্শিদাবাদের ওই বিধায়ক।
এই ঘটনার পরই আবারও স্পষ্ট করে দেওয়া হল চশমার খরচ। সঙ্গে জানানো হল শয্যা বা বেডের খরচও। বিষয়টি সামনে আসার পরে ওই বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে কথাও বলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি গোটা বিষয়টি জানতে চান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে তাদের অবস্থান স্পিকারের কাছে স্পষ্ট করেন বলে খবর। তবে বিধানসভা সূত্রে খবর, চশমা আর বেডের বিষয়ে বিধানসভা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিলেও মুর্শিদাবাদের ওই বিধায়কের ওই বিলটি পুরোপুরি খতিয়ে দেখার পরই সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার। তাঁর কথায়,’আমি সবটা পরীক্ষা করে, দেখে তারপরই সিদ্ধান্ত নেব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − eight =