মাথাভাঙায় প্রতিবাদীদের ওপর হামলা, শাসক বিরোধী তরজা শুরু

কোচবিহারের মাথাভাঙায় সেই প্রতিবাদীদের উপর হামলার অভিযোগ। মোমবাতি নিভিয়ে দেওয়া হয়। মুছে দেওয়া হয় রাস্তায় লেখা স্লোগান, ছবি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। অন্যদিকে দলীয় কর্মীদের কোনও প্ররোচনায় পা না দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। ঘটনার নিন্দা করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মাথাভাঙায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচিতে কাপুরুষের মতো হামলা চালানো হয়েছে। তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় এবং তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডারা এই হামলা চালিয়েছে।’ এর পাশাপাশি এক্স হ্যান্ডলেও তিনি লেখেন, ‘চিকিৎসকদের আবেদনে সাড়া দিয়ে সাধারণ মানুষ ন্যায়ের জন্য আলো জ্বালাও কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত তৃণমূল এই মোমবাতির আলোর তাপ সহ্য করতে পারছে না। তাই তারা জোর করে আলো নেভানোর চেষ্টা করছে। এমনকি, তৃণমূলের গুন্ডারা প্রতিবাদীদের ছবিকেও মুছে ফেলছে।’

এক্স হ্যান্ডলে মাথাভাঙার ঘটনার নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তৃণমূল গণতন্ত্র-বিরোধী এবং মানবতা-বিরোধী বলে আক্রমণ করেন তিনি।

এদিকে চিকিৎসক মহল ও নাগরিক সমাজের বিরুদ্ধে কোনও খারাপ কথা না বলতে দলের নেতা কর্মীদের দিন দুয়েক আগে বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আন্দোলনের অধিকার সবার রয়েছে বলে লিখেছিলেন এক্স হ্যান্ডলে। কোচবিহারের ঘটনার পর দলের ‘সেনাপতি’-র সেই একই লাইনে খেলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘কোচবিহারে প্রতিবাদীদের উপর কোনওরকম হামলা আমরা সমর্থন করছি না। নিন্দা করছি। কোথাও কোনও অশান্তিতে তৃণমূল কর্মীদের জড়ানো বারণ। যে বা যারা করেছে, পুলিশ ব্যবস্থা নিক। অশান্তি ছড়াতে অন্য কোনও অপশক্তির কাজ কি না, সেটাও দেখুক।’ দলের কর্মীদের প্ররোচনায় পা না দেওয়ার বার্তা দিয়ে কুণাল লেখেন, ‘দলের কেউ এসবে জড়ালে ছাড় পাবে না।’

মাথাভাঙার ঘটনা নিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিবাদ কর্মসূচির সময় রাস্তায় ছবি আঁকা হয়েছিল। তা একটা অংশের মানুষের আপত্তিজনক লাগে। তাই নিয়ে বিবাদ বাধে। পুলিশ দ্রুত হস্তক্ষেপ করে। এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 − 3 =