অবস্থান চলাকালীন মহিলাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা। তারই জেরে মধ্য রাতে তুলকালাম যাদবপুরে। এরপর অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেও, তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। এরপর মাঝরাতেই যাদবপুর থানার সামনে বসে শুরু হয় বিক্ষোভ। পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে যান আন্দোলনে সামিল হওয়া অভিনেত্রী সোহিনী সরকার, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, পরিচালক বিরসা দাশগুপ্তর মতো মুখ।
তিলোত্তমার বিচার চেয়ে ফের একবার পথে শহরবাসী। চিকিৎসকদের ডাকে বুধবার রাতে পথে নেমেছিলেন সমাজের সকল স্তরের মানুষ। কার্যত বলা চলে, দ্বিতীয় রাত দখল ছিল এটি। গতবারের মতো এবারও যাদবপুরে অবস্থান হয়। আন্দোলনকারীরা গান, পথ নাটকে প্রতিবাদের সুর তুলছিলেন। সেখানেই ছন্দ কাটে এক ব্যক্তির অভব্য আচরণে।
অভিযোগ, ওই ব্যক্তি জমায়েতের মাঝে মহিলাদের সঙ্গে অসভ্যতামি করছিলেন। এক মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এরপরই প্রতিবাদীরা তাঁকে পাকড়াও করে এবং পুলিশের কাছে নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ওঠে যে ধৃত ব্যক্তিকে নানাভাবে বাঁচানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। পরে অবশ্য ধৃতকে যাদবপুর থানায় আনা হয়।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, যাদবপুরের মতো গড়িয়া ও পাটুলিতেও একই ঘটনা ঘটেছে। তাদের দাবি, পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে কিছু মানুষকে আন্দোলনে ঢুকিয়ে দিয়ো বিশৃঙ্খলা তৈরি চেষ্টা করছিল। এই নিয়ে যাদবপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারীরা। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে হাওয়াই চটিও দেখানো হয়। এর পাশাপাশি যাদবপুর থানার সামনের ক্রসিংয়ে গোল করে বসে পড়ে আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনে সামিল সোহিনী সরকার, বিরসা দাশগুপ্ত, বিদীপ্তা চক্রবর্তীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা এসে থানায় ভিতরে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। যে মহিলার সঙ্গে শ্লীলতাহানির চেষ্টা হয়েছিল, তাঁকেও থানায় আনা হয়।