এডব্লিউএল অ্যাগ্রি বিজনেস সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও আবির চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে ‘ফরচুন ইলিশ’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে উদযাপন করলো বাংলার রন্ধন ঐতিহ্য

এডব্লিউএল অ্যাগ্রি বিজনেস লিমিটেড যা আগে পরিচিত ছিল আদানি উইলমার লিমিটেড নামে, তাদেরইফরচুন কাচ্চি ঘানি সরিষার তেল’-এর জন্যফরচুন ইলিশক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় সংস্করণের উদ্বোধন হল। ক্রিকেট কিংবদন্তি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ফরচুন কাচ্চি ঘানি সরিষার তেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর রয়েছেন। এবার তাঁর সঙ্গে ফরচুন পরিবারের নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিলেন জনপ্রিয় বাংলা সিনেমার তারকা আবির চট্টোপাধ্যায়।

এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, এসি নিয়লসেনের মতে, পশ্চিমবঙ্গের এক নম্বর ভোজ্য তেলফরচুন কাচ্চি ঘানি সরিষার তেল’-এর ইলিশ সংস্করণের বিশেষ প্যাকেট উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এই জুটি। ইলিশ মাছের সঙ্গে বাঙালিদের গভীর সাংস্কৃতিক সংযোগ উদযাপনের পাশাপাশি, এই বিশেষ ইলিশ প্যাকে রয়েছে উনিশ শতকের কালিঘাট পটচিত্র শিল্প থেকে অনুপ্রাণিত একটি সীমিত সংস্করণের নকশা। প্যাকেজিংটি বাংলার শৈল্পিক ঐতিহ্যের প্রতি এক দৃষ্টিনন্দন শ্রদ্ধার্ঘ্যও।উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবিরের সঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের প্রিয় ইলিশের রেসিপি রান্না করেন। অনুষ্ঠানটি একটি প্রাণবন্ত লাইভ ইলিশ রান্না এবং একটি জমকালো সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয়, যা এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে আরো স্মরণীয় করে তোলে।

এই প্রসঙ্গে এডব্লিউএল অ্যাগ্রি বিজনেস লিমিটেডের এমডি ও সিইও অংশু মল্লিক, , বলেন, ‘ইলিশের মরসুম বাংলার মানুষের মধ্যে আনন্দ, নস্টালজিয়া এবং গভীর রন্ধনসম্পর্কীয় গর্বের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। এই প্রচারাভিযানের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের গভীর বোঝাপড়া, যা আমাদের গ্রাহকদের সাথে সত্যিকারের সংযোগ গড়ে তোলে। ঐতিহ্য ও অখণ্ডতার প্রতীক হিসাবে আমাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সৌরভ গাঙ্গুলি আমাদের সাথে অব্যাহত রাখতে পেরে আমরা গর্বিত এবং এই বছর, আমরা প্রতিভাবান আবির চট্টোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাই, যার চেতনা বাংলার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য এবং বর্তমানকে এগিয়ে নিয়ে যায়।’

এদিনের অনুষ্ঠানে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ইলিশ শুধু খাবার নয়এটা এক আবেগ, এক উৎসব, আর প্রতিটি বাঙালি পরিবারের একটি যৌথ স্মৃতি। ফরচুন এই ঐতিহ্যকে এমন আন্তরিক এবং খাঁটি দৃষ্টিভঙ্গির সাথে উদযাপন করছে দেখে আমি আনন্দিত। বাঙালি রান্নাঘরে সরিষার তেলের গন্ধ মানেই আনন্দ আর নস্টালজিয়ার সুগন্ধ।

ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে যুক্ত হওয়ার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আবির চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বাঙালি হিসেবে ইলিশ আর সরিষার তেল শুধু উপকরণ নয়আমাদের পরিচয়েরই এক অংশ। ছোটবেলায় মায়ের আর ঠাকুমার হাতের সরিষার তেলে রান্না ইলিশ খেয়ে বড় হয়েছি, আর ফরচুন কাচ্চি ঘানি সরিষার তেল সেই স্বাদটাকেই ফিরিয়ে আনে। তাই সত্যতা আর ঐতিহ্যের প্রতীক এমন একটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়া মানেই ঘরে ফেরার মতো অনুভূতি।

আর এই বর্ষার মরসুমের আমেজকে জীবন্ত করে তুলতে, কলকাতার জমজমাট মাছের বাজার, যা ইলিশ উৎসবের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসাজিয়ে তোলা হয়েছিল রঙিন ফরচুন ব্র্যান্ডিং আর আকর্ষণীয় অ্যাক্টিভেশনে। এখানেই আয়োজন করা হয় নানা মনোগ্রাহী কার্যক্রমের, যেখানে ক্রেতারা স্থানীয় পরিবেশে, একেবারে আপন করে, ব্র্যান্ডের স্বাদ ও অভিজ্ঞতা উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছেন। ক্যাম্পেইনের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে কলকাতার রাস্তাতেও, যেখানে শহরের বাস ও ট্রাম সেজে উঠেছিল ইলিশের ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তোলা রঙিন ভিজ্যুয়ালে। উৎসবে বাড়তি রঙ মেলাতে, ব্র্যান্ডেড ক্যান্টার ঘুরে বেড়ায় শহরের জনপ্রিয় সব প্রান্তে, সঙ্গে ছিল স্যাম্পলিং সেশন ও ইন্টারঅ্যাক্টিভ অভিজ্ঞতা, যা সরাসরি মানুষজনের কাছে সরিষার তেলের নস্টালজিক গন্ধ আর ঐতিহ্যবাহী রেসিপির স্বাদ পৌঁছে দেয়।

শুধু তাই নয়, ফরচুন ব্র্যান্ডের সাফল্যের ২৫ বছরও উদযাপন করছে সংস্থা। ২০০০ সালে এক বিনম্র সূচনার পর, ফরচুন আজ হয়ে উঠেছে আস্থা, স্বাদ আর একতার প্রতীকপৌঁছে গেছে দেশের প্রতি তিনটি পরিবারের মধ্যে একটিতে। প্রাণবন্ত ব্র্যান্ডিং, গভীর হাইপারলোকাল সংযোগ আর সত্যনিষ্ঠ গল্প বলার মাধ্যমে, ফরচুন ইলিশ ক্যাম্পেইন এ বছরের এই মৌসুমকে পরিণত করেছে প্রতিটি বাঙালি রান্নাঘরের জন্য এক অবিস্মরণীয় উৎসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × four =