কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে শীর্ষ আদালতের রায়, শুধুমাত্র ডিএলএড বা ডিএড প্রশিক্ষিতরাই অংশ নিতে পারবেন প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায়। বিএড প্রশিক্ষিতরা এই সুযোগ পাবেন না। তাঁরা উচ্চ প্রাথমিকের চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই নিয়ম সারা দেশের জন্য প্রযোজ্য বলেও এদিন জানায় শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের ফলে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনে বসা চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে অনেকেই সমস্যায় পড়বেন বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এক নির্দেশে বলেছিলেন, প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির জন্য বিএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরাও আবেদন করতে পারবেন। এদিকে আবার প্রাথমিকে বিএড প্রশিক্ষিতরা নন, ডিএলএড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা শুধু সুযোগ পাবে বলে রায় দিয়েছিল রাজস্থান হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ন্যাশানাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন বা এনসিটিই। এই সব মামলা নিয়ে সারা দেশেই বিস্তর জলঘোলা হয়। অবশেষে এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধু ডিএলএড প্রশিক্ষিতরাই আবেদন করতে পারবেন। বিএড করা প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন না। এদিকে ২০১৪ সালে টেট পাশ করা যে সব প্রার্থী শহরের রাস্তায় বসে আন্দোলন করছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই বিএড প্রশিক্ষিত। এই রায়ে তাঁরা কার্যত নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকেই বাদ পড়তে চলেছেন বলে দাবি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। স্বাভাবিক ভাবেই শীর্ষ আদালতের এই রায়ে তাঁরা হতাশ হন। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিক স্তরে ডিএলএড প্রশিক্ষিতরাই ছাত্রছাত্রীদের ভালো পড়াতে পারবেন। অন্যদিকে বিএড পাশ করা প্রার্থীরা উচ্চ প্রাথমিকে আবেদন করতে পারেন বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।