ডিভিসি জল ছাড়ায় জলের তোড়ে যে চারটে জায়গার বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়েছে সেগুলি হল হাওড়ার ভাটোরা গায়েন পাড়া, ভাটোরা পানশিউলি ঘাট, কুলিয়া ঘাট ও টাকি পাড়া। উলুবেড়িয়া জয়পুরের ঘোড়াবেড়িয়া চিতনান ও ভাটোরা ‘ভাটোরা দ্বীপ অঞ্চল’ নামে পরিচিত। এই দ্বীপাঞ্চলে প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বসবাস। এই দ্বীপাঞ্চল পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বাঁশের ৪টি সাঁকো ভেঙে পড়ায়। এই মুহূর্তে মূল ভূখণ্ড থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে ভাটোরা। ডিভিসি’র জল ছাড়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাওড়া জেলার উদয়নারায়ণপুরেও দেখা দিয়েছে বন্যার ভ্রুকুটি।
রবিবার সকাল থেকেই দামোদরের জলস্তর বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল। অন্য দিকে, বন্যার আগাম সতর্কতা হিসেবে রবিবার দুপুরে উদয়নারায়ণপুরে একটি প্রশাসনিক বৈঠকও হয়। বৈঠকে জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, স্থানীয় বিধায়ক ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। রবিবারের এই বৈঠকে ব্লকের ত্রাণশিবিরগুলিকে প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছিল। পাশাপাশি পঞ্চায়েতগুলিকেও আগাম সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছিল।
শুধু তাই নয়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদী-তীরবর্তী এলাকায় মাইকিং করে মানুষজনকে সতর্ক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ মতো চলছে মাইকিংও। একইসঙ্গে বলা হচ্ছে, মানুষ যেন অযথা আতঙ্কিত না হন বরং দ্রুত বিপজ্জনক স্থান ছেড়ে দিয়ে নিরাপদ স্থান অথবা ফ্লাড সেন্টারে চলে যেতে বলা হচ্ছে।
এদিকে ভাটোরা দ্বীপাঞ্চলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে রবিবার দুপুর পর্যন্ত নৌকা চলাচলের মাধ্যমে মানুষজনকে পারাপার করানো হচ্ছিল। তবে রবিবার দুপুরের পর থেকে উচ্চ পর্যায়ে প্রশাসনের নির্দেশমতো নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে খুব প্রয়োজন ছাড়া কোনও নৌকাই চালানো যাবে না, এই মর্মে নির্দেশ প্রশাসনের। চিকিৎসা এবং খুব জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রে স্পিডবোটের ব্যবস্থা করা হবে।