বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ আগামী ২০২৪-এর ৯ জুলাই অবসর নিতে চলেছেন। বন্ধন ব্যাঙ্কের প্রথম এমডি এবং সিইও হিসেবে চন্দ্রশেখর ঘোষ টানা তিনবার পদের দায়িত্বভার সামলেছেন। বোর্ড এর কাছে দেওয়া তাঁর চিঠিতে চন্দ্রশেখর ঘোষ উল্লেখ করেন যে অবসরের পর তিনি বন্ধন ফাইনান্সিয়াল হোল্ডিংয়ের বৃহত্তর দায়িত্ব সামলাবেন।
এই প্রসঙ্গে বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিই, চন্দ্রশেখর ঘোষ জানান, ‘আমার অবসর গ্রহণ একটি সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। আমি খুবই সৌভাগ্যবান যে এখানে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী টিম রয়েছে যা এই ব্যাঙ্কের দ্রুত বৃদ্ধি করতে এবং আরো বেশি পরিমাণ গ্রাহককে পরিষেবা দিতে প্রস্তুত বলে আমি নিশ্চিত। গত আর্থিক বছরে ব্যাঙ্ক ব্যবসায়িক গতি ফিরে পেয়েছে। এই উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে আমার আশা এবং ভরসা আরও সুদৃঢ় হয়েছে এবং আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে এটাই সঠিক সময় আমার অবসর নেওয়ার। ২০০১ থেকে শুরু হওয়া বন্ধনের ২০১৫ সালে একটি জাতীয় ব্যাঙ্ক হিসেবে রূপান্তরিত হওয়া আমার এই যাত্রাকে পূর্ণ করেছে।’ এদিকে বন্ধন ব্যাহ্ক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, ব্যাঙ্ক সিলেকশন কমিটি ইতিমধ্যেই পরবর্তী এমডি এবং সিইও পদে কাকে দায়িত্ব দেওয়া যায়, সেই বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, ২০০১ সালে চন্দ্রশেখর ঘোষ ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের গ্রামীণ মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য এনজিও হিসেবে বন্ধন সংস্থা তৈরি করেছিলেন। ধীরে ধীরে সেই প্রতিষ্ঠানটি বড় হয়ে একটি এনবিএফসি এবং ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ব্যাঙ্কে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে বন্ধন ব্যাঙ্কের দেশ জুড়ে ৩৫টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি গ্রাহক রয়েছে। 2২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে বন্ধন ব্যাঙ্কের মোট আমানতের পরিমাণ ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি হয়েছে। ব্যাঙ্কের প্রদত্ত ঋণের পরিমান ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১.২৯ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। বর্তমানে বন্ধন ব্যাঙ্কে ৭৫ হাজারেরও বেশি কর্মচারি কর্মরত।