ভারতের চারটি রাজ্যে আরও ১৮টি নতুন শাখা খুলল বন্ধন ব্যাংক । ব্যাংক ঝাড়খণ্ডে সাতটি, অন্ধ্র প্রদেশে পাঁচটি, এবং বিহার ও ওড়িশার প্রতিটিতে তিনটি শাখা উদ্বোধন করা হল বলে জানানো হয়েছে বন্ধন ব্যাঙ্কের তরফ থেকে। শাখাগুলো উদ্বোধন করেন এমডি ও সিইও, বন্ধন ব্যাংক পার্থ প্রতিম সেনগুপ্ত। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেনরাজিন্দর কুমার বাব্বার, ইডি ও সিবিও, মি. রতন কুমার কেশ, ইডি ও সিওও এবং ব্যাংকের অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।
বন্ধন ব্যাঙ্কের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, বিহারের নতুন শাখাগুলো পশ্চিম চম্পারণ (চানপাতিয়া শাখা), নওদা (রাজাউলি শাখা), এবং অরঙ্গাবাদ (নবীনগর শাখা) এ অবস্থিত। ঝাড়খণ্ডে সেরাইকেলা–খরসাওয়ান (চান্দিল শাখা), রাঁচি (মেসরা শাখা, কাঙ্কে শাখা), হাজারিবাগ (বারকাগাঁও শাখা), গিরিদীহ (বাগোদর শাখা, ধানওয়ার শাখা), এবং বকড়ো (গুমিয়া শাখা) এ নতুন শাখা খোলা হয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশে শ্রীকাকুলম (নারাসন্নাপেটা শাখা, টেক্কালি শাখা), কাকিনাড়া (পেড্ডাপুরম শাখা), পূর্ব গোদাবরি (দেবরাপালে শাখা), ডঃ বি আর আম্মেদ (রমচন্দ্রপুরম শাখা) এ খোলা হল ব্যাংকের নতুন শাখা। ওড়িশায় নতুন শাখাগুলো কন্দমাল (বালিগুড়া শাখা), বারগড় (বারাপালি শাখা), এবং বালাঙ্গির (কান্তাবাঞ্জি শাখা) এ স্থাপিত হয়েছে।
বন্ধন ব্যাংকের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, এই নতুন শাখাগুলো রাজ্যের উপকণ্ঠ এবং গ্রামীণ এলাকায় সেবা প্রদান করবে। শাখা নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ ব্যাংকের কৌশলগত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিভিন্নীকরণ ও সারাদেশে শক্তিশালী উপস্থিতি প্রতিষ্ঠার অংশ। শাখার সংখ্যা বাড়িয়ে ব্যাংক গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকিং সমাধানগুলো অনেক সহজ সাধ্য করাই বন্ধন ব্যাংকের কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য।ভারতের চারটি রাজ্যে এই ১৮টি নতুন শাখার উদ্বোধনের মাধ্যমে এই মুহূর্তে বন্ধন ব্যাংকের মোট শাখার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ১৭৪৯-এ। পাশাাপাশি ব্যাংক এখন ভারতের বিভিন্ন স্থানে ৬৩০০ এর বেশি ব্যাংকিং আউটলেটের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা প্রদান করবে।প্রসঙ্গত,বর্তমানে বন্ধন ব্যাংক দেশের ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ৩৫টিতে বিস্তৃত।
নতুন শাখা উদ্বোধন সম্পর্কে এমডি ও সিইও, বন্ধন ব্যাংক পার্থ প্রতিম সেনগুপ্ত, জানান, ‘আমরা গ্রাহকদের চাহিদার পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে আমাদের পণ্য ও সেবাগুলো মানানসই করে একটি অসাধারণ গ্রাহক অভিজ্ঞতা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সংক্রান্তে আমরা আনন্দিত যে চারটি রাজ্যে ১৮টি নতুন শাখা উদ্বোধন করে আমাদের নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করছি, যাতে গ্রাহকদের আরও কার্যকর সেবা প্রদান করা যায়। সারাদেশে সম্প্রসারণের সঙ্গে আমরা টেকসই বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি এবং পরিবর্তিত প্রত্যাশাগুলো পূরণে উদ্ভাবনী ও নমনীয় সমাধান প্রদান করব।’